১৩ অক্টোবর ২০২৫

পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
পরিবারসহ করোনায় আক্রান্ত নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সেরও (বিএবি) চেয়ারম্যান। তিনি ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তার স্ত্রী, পুত্র ও পুত্রবধূ।

জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয় মজুমদার পরিবারে। এখন পর্যন্ত নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার স্ত্রী নাসরিন ইসলাম বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এ দম্পতির ছেলে ওয়ালিদ ইবনে ইসলাম এবং তার স্ত্রী। কয়েকদিন ধরে বাসায় চিকিৎসা নিয়েও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গত শনিবার তারা হাসপাতালে ভর্তি হন।

নজরুল ইসলাম মজুমদার জানান, সপ্তাহখানেক আগে আমার ছেলে ও বউমার কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা দেয়। পরে আমারও উপসর্গ দেখা দিলে আনোয়ার খান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা বাসায় এসে করোনা ও ডেঙ্গুর নমুনা নিয়ে যায়। পরীক্ষার ফলাফলে আমার স্ত্রীসহ চার জনেরই করোনাভাইরাস পজেটিভ এসেছে। এখন পর্যন্ত আমরা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিয়েছি। সবার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে এ শিল্প উদ্যোক্তা বলেন, সতর্কতার সঙ্গেই চলাফেরা করেছি। তারপরও করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়াকে আল্লাহর পরীক্ষা হিসেবেই নিয়েছি। দেশের অনেক শিল্প উদ্যোক্তাই এরই মধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন। সবার জন্য দেশের সব মানুষের কাছে আমি দোয়া চাচ্ছি।

নজরুল ইসলাম মজুমদার বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। তার স্ত্রী নাসরিন ইসলামও ব্যাংকটির উদ্যোক্তা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ পরিবারের মালিকানাধীন নাসা গ্রুপের বাৎসরিক টার্নওভার ৩৫ কোটি ডলার। নাসা গ্রুপের মূল বিনিয়োগ দেশের বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাতে। এ গ্রুপের কারখানাগুলোতে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মরত। বস্ত্র ও তৈরি পোশাক, ব্যাংক, শেয়ারবাজার ছাড়াও নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিনিয়োগ রয়েছে আবাসন, শিক্ষা ও পর্যটন খাতে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন