১৪ অক্টোবর ২০২৫

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিএনপি নেতা হাবিবসহ ৫০ আসামির সাজা

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: বিএনপি নেতা হাবিবসহ ৫০ আসামির সাজা
বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও বাকিদ ৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর এ রায় দেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শেষে ৩৪ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন আসামির মধ্যে ৩৪ জন কারাগারে রয়েছেন। অপর ১৬ জনের মধ্যে একজন অন্য মামলায় কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া পলাতক রয়েছেন ১৫ জন। কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, আব্দুর রকিব মোল্যা, আক্তারুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, হাসান আলী, ময়না, আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, জহুরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, রকিব, ট্রলি শহীদুল, মনিরুল ইসলাম, শেখ কামরুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, শেলী, শাহিনুর রহমান, দিদার মোড়ল, সোহাগ হোসেন, মাহাফুজুর মোলা, আব্দুল গফফার গাজী, রিঙ্কু, অ্যাড. আব্দুস সামাদ, টাইগার খোকন ওরফে বেড়ে খোকন। পলাতক রয়েছেন, আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, আরিফুর রহমান, রিপন, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী, কণক ও মাহাফুজুর রহমান। ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা ও শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। প্রায় ১৩ বছর পর ২০১৫ সালে আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেয়া হয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে কোয়াশমেন্ট করেন আসামিরা। এরপর চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য শেষ করার জন্য সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর মামলাটির বিচার কাজ নতুন করে শুরু হয়। বিপি।এসএম  
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন