
শহিদুল আলমকে নিরাপদে দেশে ফেরাতে রাজনৈতিক দলগুলোর আহ্বান


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে নিরাপদে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ বুধবার বিকেলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, গণসংহতি আন্দোলন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শহিদুল আলম বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় জানান, তাঁরা বহনকারী গাজা অভিমুখী জাহাজটি মাঝসমুদ্রে ইসরায়েলি বাহিনী আটকে দিয়েছে। তিনি অপহরণের শিকার হয়েছেন। শহিদুল আলম কনশেনস নামের জাহাজে আছেন, যা আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি) নৌবহরের অংশ।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘গাজাবাসীর প্রাণ রক্ষার পাশাপাশি শহিদুল আলমসহ সব মানবাধিকারকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানও শহিদুল আলমের নিরাপত্তা ও মুক্তি জাতীয় সম্মান ও মর্যাদার প্রশ্ন বলে মন্তব্য করেন।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের কাছে দ্রুত মুক্তি এবং নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ জানান, আলোকচিত্রী ও গাজা অভিমুখী ত্রাণকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন। নাগরিক কোয়ালিশনও শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি জানান।
ঢাকায় সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলন শহিদুল আলমসহ অধিকারকর্মীদের মুক্তি দাবি করে। সভায় তাসলিমা আখতার বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অপহৃত শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে। তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। সরকারের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ প্রয়োজন।’
বিপি/কেজে
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





‘তিন-শূন্য বিশ্ব’ গঠনই বিশ্ব বাঁচানোর একমাত্র পথ: প্রধান উপদেষ্টা
