১৪ অক্টোবর ২০২৫

সৈয়দপুরে মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সৈয়দপুরে মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন

এম আর আলী টুটুল, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে: নীলফামারীর সৈয়দপুরে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে রওশন হাবিব বাবুর পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১৭ জুলাই দুপুরে বাবুর নিজ বাসভবন কামারপুকুরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, অভিযুক্তের ভাই বাদশা। এসময় তার মা ও ভাবী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৈয়দপুর শহরের কাজীরহাট এলাকার মমিনুল ইসলাম চাইনিজের মেয়ে চাঁদনী গত ৫ জুলাই নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর সৈয়দপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ১১ জুলাই ভোর রাতে সৈয়দপুর থানা পুলিশ রংপুরের একটি বাড়ী থেকে চাঁদনীকে উদ্ধার করে। এসময় মিজানুর রহমান মিজান (৪২) কে আটক করে পুলিশ। ১২ জুলাই সৈয়দপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন মেয়েটির বাবা। মামলায় রওশন হাবিব বাবু, কিশোরগঞ্জ রণচন্ডি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বিমান ও কিশোরগঞ্জের হোটেল ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মিজানকে আসামী করা হয়। আটক মিজান নীলফামারী জেল হাজতে রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাবুর ভাই বলেন, বাবু টোবাকো কোম্পানীর মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে এক বছর ধরে জলঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। তার সাথে বিমান, মিজান ও মামলার বাদী ভিকটিমের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। বাবুর পরিবারের এলাকায় সুনাম রয়েছে। তার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে এবং বাবুকে ফাঁসাতে একটি মহল হয়তো বাদী পক্ষকে ইন্ধন দিয়ে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে। চাকুরীকালীন সময়ে তাকে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০/১১টা পর্যন্ত বাইরে থাকতে হয়। এছাড়া রাতে সে জলঢাকা অফিসে রাত্রীযাপন করেন। অফিসের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও অফিস কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলে বাবু সম্পর্কে জানা যাবে।

এছাড়া বাবু ৪ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত কোথায় ছিল ভিডিও ফুটেজ দেখলে জানা যাবে। তার পরিবারের দাবী সঠিক তদন্ত করলেই বাবু নির্দোষ তা প্রমাণিত হবে। তারা মামলাটি সঠিক তদন্তের জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করেন। সেই সাথে এই মামলা থেকে বাবুর নাম প্রতাহারের দাবী জানান।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন