১৪ অক্টোবর ২০২৫

সুরেন্দ্র সিনহার বইয়ের পেছেন কারা তা খুঁজে বের করুন: প্রধানমন্ত্রী

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
সুরেন্দ্র সিনহার বইয়ের পেছেন কারা তা খুঁজে বের করুন: প্রধানমন্ত্রী
সাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক : সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যুক্তরাষ্ট্রে বসে লেখা ও প্রকাশিত ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ বই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বইটি লেখা ও প্রকাশের পেছেনে কারা জড়িত রয়েছেন সেটা সাংবাদিকদেরকেই খুঁজে বের করতে হবে। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বই প্রকাশে দেশের কোন কোন সাংবাদিক বা সংবাদপত্রের লোক জড়িত রয়েছেন তা আপনারাই খুঁজে বের করুন। বইয়ের পান্ডুলিপি কতবার দেশে পাঠানো হয়েছে, কারা প্রুপ দেখে দিয়েছে আমি সব জানি কিন্তু এখন তা বলবো না। দুর্নীতির অর্থে সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বাড়ি ক্রয় প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকায় বাড়ি কেনা খুবই সহজ।সামান্য কিছু অর্থ জমা দিলেই সেখানে বাড়ি কেনা যায় বরং বাংলাদেশেই বারি কেনা কঠিন কাজ। দুর্নীতির অর্থ দিয়ে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বাড়ি কিনেছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবে দুদক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইবার ক্রাইম বন্ধের জন্যি আমরা ডিজিটাল আইন পাশ করেছি। এ আইন সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের জন্য নয়।হলুদ সাংবাদিকতার উর্দ্ধে থেকে যারা স্বচ্ছ সাংবাদিকতা করে তাদেরতো কোন ভয় নেই।সামাজিক অপরাধ থেকে সমাজকে রক্ষা করারা জন্যই আমরা এ আইন করেছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করার পর সুবিধা অসুবিধা দু’টোই দেখা দিয়েছে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তায় আমরা ডিজিটাল আইন পাস করেছি। কিন্তু সমস্যা তৈরি করছে সাংবাদিকরা। তারা টক শো করতে করতে আমাদেরকি টক বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর আগে তো এত পত্রিকা আর চ্যানেল ছিল না।এত পত্রিকা আর প্রাইভেট চ্যানেল সব আমিই করে দিয়েছি।আমরা সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় তো কোন হস্তক্ষেপ করছি না। রাত জেগে ছোট ছোট ছেলেমেয়ারা সময় নষ্ট করছে। অনেকেই সরকার বিরোধী অপপ্রচার করে বেড়াচ্ছেন এসব বন্ধের জন্যই আমরা এ আইন করেছি। এটা সাংবাদিকদের বুঝতে হবে। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ দেখবেন তা হয় না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সময় অনেকেই স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করেছেন। তিন দিনের মাথায় আমরা দেখলাম বিভিন্ন লেবাসে বুড়া খোকাদের।এক বেহায়া বেশরম মেয়ে নিজের গায়ের ওড়না, কাপড় খুলে বলেছে তাকে আওয়ামীলীগ অফিসে নাকি ধর্ষন করা হয়েছে।পরে আমরা কি জানলাম, সেটা ছিল একটি সাজানো নাটক। একজন ফটো সাংবাদিক সরকারের বিরোধিতায় নেমে পড়লেন।পুলিশ তাকে বুঝানো চেষ্টা করলেন, তিনি পুলিশকেও ধমক দিয়ে বললেন, আমি বলে দেবো আপনারা আমাকে নির্যাতন করছেন। তখন পুলিশ উনাকে চালান করে দেয়।এখন তা নিয়ে দেশে বিদেশে নানা সোরগোল পড়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন বিমান নিয়ে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। আমরা ৬ টি নতুন বিমান কিনেছি। আরো একটি কেনার কথা চলছে। ঢাকা-নিউ ইয়র্ক বিমান চলাচলের প্রক্রিয়া চলছে।এদেশের আইন অনুযায়ী শ্লট পেলেই ঢাকা-নিউ ইয়র্ক বিমান পুনঃরায় চলাচল করবে।তখন আপনারা অনায়েসে ও নিশ্চিন্তে দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। বর্তমান সরকার মানুষের কল্যাণেই কাজ করে থাকেন বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা উল্লেখ করে বলেন, গত ২৭ শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে আমি বক্তব্য প্রদান করি। প্রতিবারের মত এবারও আমি বাংলায় ভাষণ দেই। ভাষণে আমি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, গণতন্ত্রের ধারা সমুন্নত রাখাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের বিগত সাড়ে নয় বছরের সাফল্যসমূহ তুলে ধরি। পাশাপাশি আমি রোহিঙ্গা সমস্যা, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা, নিরাপদ অভিবাসন ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরি। ২৩ শে সেপ্টেম্বর আমার সঙ্গে মার্কিন সিনেটর জেফরি এ্যালান মার্কলে’র দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি যোগ দেই। ২৪শে সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের আয়োজনে ‘হাই লেভেল ইভেন্টস অন দ্য গ্লোবাল কম্প্যাক্ট অন রিফুইজি: এ মডেল ফর গ্লোবাল সলিডারিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন’ এ অংশগ্রহণ করি। জাতিসংঘ মহাসচিব, বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্ট এবং বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকার ভূয়সী প্রসংসা করেন। আমি রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের জন্য তিনটি সুপারিশ তুলে ধরি। ক) মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত বৈষম্যমূলক আইন, নীতিমালা ও প্রথাগুলো বাতিল করতে হবে এবং এ সঙ্কটের মূল কারণগুলি খুঁজে বের করে তার প্রকৃত এবং সময়োপযোগী সমাধান করতে হবে। ক) মিয়ানমারকে অবশ্যই একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আস্থা সৃষ্টি ও সকল রোহিঙ্গা নাগরিকের জন্য সুরক্ষা, অধিকার এবং নাগরিকত্বলাভের উপায় নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজন হলে সকল নাগরিকের সুরক্ষার জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি ‘নিরাপদ অ ল’ তৈরি করতে হবে। গ) মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা প্রতিরোধে জবাবদিহিতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালা বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। একইদিন সকালে আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যা নিয়ে ‘গ্লোবাল কল টু অ্যাকশন অন দ্য ওয়ার্ল্ড ড্রাগ প্রবলেম’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগদান করি। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই গ্লোবাল কল-এ সমর্থন দান করেছে। এছাড়া, একইদিন আমি নেলসন ম্যান্ডেলা পিস সামিটে অংশগ্রহণ করে শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করি। এ গুলো হল: সকল ধরনের বৈশ্বিক দ্বন্দের শান্তিপূর্ণ সমাধান; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি; সহনশীলতার প্রসার, বৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ধর্মীয় ও নৃতাত্তিক ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিকে বৈষম্য ও শোষণের হাত থেকে রক্ষা করা; সন্ত্রাসীদের অর্থ ও অস্ত্রের যোগান বন্ধের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ দমন; এবং যেকোন পরিস্থিতিতে মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং অহিংসবাদ ও শান্তি সংস্কৃতির প্রসার। ২৪ শে সেপ্টেম্বর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আমি লিডার্স ডায়ালগ: টুগেদার ফর গার্লস এডুকেশন ইন কমফ্লিক্ট এফেক্টেট অ্যান্ড ফ্রাগিল কন্টেক্সট শীর্ষক সভায় যোগ দেই এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার রোহিঙ্গা শিশুদের বিশেষ প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষার আয়োজনে বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরি। এ সকল শিশুরা যাতে মিয়ানমারে নিজ দেশে ফিরে গিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে পারে সে লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাই। একইদিন দুপুরে আমি মার্কিন চেম্বার অব কমার্স-এর আয়োজনে ‘লাঞ্চেঅন রাউন্ডটেবল মিটিং: বাংলাদেশ অব দ্য ফিউচার’ শীর্ষক সভায় অংশ নেই। শীর্ষ স্থানীয় মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আমি আমাদের সরকারের ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও উদ্যোগ এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরি। মার্কিন বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন। অনেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। ২৫ শে সেপ্টেম্বর সকালে আমি বাংলাদেশের আয়োজনে ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড কোঅপারেশন’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভার উদ্বোধন করি। এ সভায় আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরি। সভায় বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুনবৎ নিরাপত্তা এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। এই সভার সহযোগী আয়োজক ছিল জাতিসংঘের ইউএনওডিএ। এ সভার দ্বিতীয় পর্বটি আমার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার সভাপতিত্বে পরিচালিত হয়। সেখানে সাইবার নিরাপত্তার নানাদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। একইদিন আমি জাতিসংঘের মহাসচিবের আমন্ত্রণে অ্যাকশন ফর পিচ কিপিং শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভায় অংশগ্রহণ করি। তিনি বলেন, আমি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান ও সাফল্য তুলে ধরি এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ করতে সকলের করণীয় বিষয়ে আলোচনা করি। এ বছর আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত শান্তিরক্ষার যৌথ অঙ্গীকারনামায় সমর্থন জানাই। গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে গঠিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে প্রতিরোধে গঠিত সেক্সুয়াল এক্সপ্লোটাশন অ্যান্ড অ্যাবুস-এর এক বছর পূর্তিতে গৃহীত যৌথ ঘোষণাও বাংলাদেশ অনুমোদন করে। শেখ হাসিনা বলেন, ২৭ শে সেপ্টেম্বর আমি ওআইসি সচিবালয় এবং সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থা বিষয়ে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় যোগ দেই। এই সভায় মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশগ্রহণ করেন। রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু হতেই ওআইসি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং এ সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে। এবারের সভায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মুসলিম বিশ্বের পরবর্তী করণীয় এবং সকলের মিলিত পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। একই দিন আমি লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ও কাউন্সিল অব উমেন ওয়ার্ল্ড লিডারের চেয়ার গ্রাইবাউস্ক্যাটি এর আমন্ত্রেণে শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক সভায় অংশগ্রহণ করি। বিশ্ব অর্থনীতিতে নারীর ভূমিকা উল্লেখপূর্বক আমি নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরি। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের মহাসচিবও অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৭ শে সেপ্টেম্বর ইন্টারপ্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি রোহিঙ্গা ইস্যুতে অনুকরণীয়, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য আমাকে ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট আওয়ার্ড প্রদান করে। একইদিনে গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন আমাকে ২০১৮ সালের জন্য বিশেষ লিডারশীপ সম্মাননা প্রদান করে। এই সম্মাননাও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য প্রদান করা হয়। ইউনেস্কোর সাবেক মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন সভায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমি জাতিসংঘ মহাসচিব কর্তৃক সকল দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানগণের জন্য আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কর্তৃক আয়োজিত অভ্যর্থনা সভায় যোগ দেই। এছাড়া, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনের সভাপতি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক, ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস কমিটির সভাপতি, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত, নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়িনের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিনিধি, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে আমার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়টি উঠে আসে। এবারের অধিবেশনে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি সম্পর্কিত একটি, বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত ২টিসহ সর্বমোট ৫টি যৌথ ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি, জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদুত মাসুদ বিন মোমেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিসহ স্থানীয় ও ঢাকার গণমাধ্যম কর্মিরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন