১৪ অক্টোবর ২০২৫

টেস্টি স্যালাইন পান করে শিক্ষক ও চার ছাত্র হাসপাতালে

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
টেস্টি স্যালাইন পান করে শিক্ষক ও চার ছাত্র হাসপাতালে

মেহেরপুর প্রতিনিধি:টেস্টি স্যালাইন পান করে মেহেরপুরের বারাদী কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ সেন্টারের চার ছাত্র ও এক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার (০১ মে) রাত সোয়া ১১টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

অসুস্থরা হলেন-ল্যাংগুয়েজ সেন্টারের শিক্ষক মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়ীয়া গ্রামের রুহুল আমিন (৩৭), আবাসিক ছাত্র মিরাজুল ইসলাম (২২), শিহাব সুমন (২৩), লিখন রাজ (২৪) ও শেখ ওয়াজ কুরুনী (২২)। চার ছাত্রের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা শহরের তালতলাপাড়ায়।

হাসপাতালে রোগীদের কাছে ছিলেন বারাদী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি এসআই রিংকু মাহমুদ ও ছাত্রলীগ সভাপতি আল মামুন। তারা জানান, প্রতিদিনের মতো ছাত্রদের কোরিয়ান ভাষা শেখাচ্ছিলেন শিক্ষক রুহুল আমন। এসময় গরমে একটু স্বস্তির আশায় তারা টেস্টি স্যালাইন গুলিয়ে পান করেন। স্যালাইন পান করার পরপর শিক্ষক ও চার ছাত্র বমি করতে থাকেন।

একপর্যায়ে তাদের শরীর অবশ হয়ে যায় এবং তারা নেশায় আছন্ন হয়ে পড়েন। পরে সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। মেহেরপুর থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। একই সঙ্গে সেই স্যালাইনগুলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্যালাইনের বিষয়ে রোগীরা বলেন, বারাদী পুলিশ ক্যাম্পের সামনে আশাদুল ইসলামের মুদি দোকান থেকে বুধবার সন্ধ্যায় ইউনিভার্সল কোম্পানির এক বাক্স টেস্টি স্যালাইন কেনা হয়। স্যালাইনের প্যাকেটে ব্যবহারের মেয়াদ এখনো বেশ কিছুদিন রয়েছে। তাই স্যালাইনের মধ্যে কী এমন আছে তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইর্মাজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. সাউদ কবির বলেন, তাদের চিকিৎসা চলছে। কি কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খাঁন বলেন, হাসপাতাল পরিদর্শন করে স্যালাইনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন