১৩ অক্টোবর ২০২৫

তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি, অযথা ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন: মির্জা ফখরুল

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০৯ এএম
তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি, অযথা ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি কেন: মির্জা ফখরুল

 

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: বিএনপির নির্বাচনের প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে অযথা কেন টানাটানি- প্রশ্ন করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারও নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘ভাই আমরা তো তোমাদের মার্কাতে বাধা দিইনি। কোন মার্কা তোমাদের দেবে তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। অযথা বিএনপির ধানের শীষকে নিয়ে টানাটানি কেন?’

শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ধানের শীষ অপ্রতিরোধ্য, সারাদেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে, ধানের শীষকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ধানের শীষ জিতে গেলে বাংলাদেশ নিয়ে চাক্রান্তকারীরা চলে যেতে বাধ্য হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার জন্য একমাত্র পথ সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন।

তিনি বলেন, যতই সংস্কার করি, বুদ্ধিজীবী মিলে কৌশল আবিষ্কার করার চেষ্টা করি কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারব না।

শেখ হাসিনাকে দানব উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মনস্টার (দানব) শেখ হাসিনা এমনি এমনি দিল্লি পলাইয়া যায়নি, যেতে বাধ্য হয়েছে। কারণ, আমরা সে ভিত্তি তৈরি করেছি। দীর্ঘ ১৫ বছর লড়াই করে সংগ্রাম করে রক্ত দিয়ে আমরা সেই ভিত্তি অর্জন করেছি।’

 

কয়েক দিন লাফালাফি করলে গণতন্ত্র হয় না- এমন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র গড়তে হলে অনেক পরিশ্রম দরকার, ত্যাগ দরকার, জনগণের কাছে যাওয়া দরকার। বিএনপি গণতন্ত্রের জন্য মানুষের কাছে যাওয়া পার্টি।’

আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেখছি আমলাতন্ত্রকে একটি দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করব না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ আমলাতন্ত্র, সরকার থাকতে হবে নির্বাচনের সময়। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকতে হবে। কোনো দলের কাছে যেন মাথা নত না করে।’

 

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে শহীদ জেহাদের লাশ রেখে আমরা শপথ করেছিলাম স্বৈরাচার পতনের। পরের দিন হরতাল কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। আহত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে আমরা শহীদ মিনারে গিয়ে আবার শপথ নিই। শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারের পতন করতে সফল হয়।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনসহ প্রমুখ।


বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন