১৪ অক্টোবর ২০২৫

ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠকের সমস্ত খরচ কে বহন করবে জানেন ?

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠকের সমস্ত খরচ কে বহন করবে জানেন ?

বাংলাপ্রেস ঢাকা: সমগ্র বিশ্বে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সংক্রান্ত সফল প্রচার চালানোর জন্য গতবছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল ‘আইক্যান’৷ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আবারও এক অভিনব প্রচেষ্টা নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এল তারা৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আসন্ন বৈঠকের সমস্ত খরচ বহন করার দায়িত্ব নিতে চাইল তারা৷ নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিনিময়ে যে আর্থিকমূল্য পেয়েছিল সংস্থাটি, সেই অর্থই ১২ জুন সিঙ্গাপুরের ঐতিহাসিক বৈঠকে কাজে লাগাতে চাইছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরানুযায়ী, ট্রাম্প-কিম বৈঠকের খরচ ও নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা আশঙ্কিত হয়ে রয়েছে পিয়ংইয়ং৷ তাদের ভাবনায় প্রথমেই রয়েছে, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট কিম ও তাঁর সহযোগীদের থাকার বিপুল খরচ কোথা থেকে আসবে৷ দ্বিতীয়ত, যে কিম কোনওদিন উত্তর কোরিয়ার বাইরে জাননি, তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা কী হবে৷ এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে শান্তিতে নোবেল পাওয়া সংস্থা The International Campaign to Abolish Nuclear Weapons (ICAN)৷ নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে পুরস্কার মূল্য হিসাবে তাঁরা পেয়েছিল ৯ মিলিয়ন সুইডিস ক্রাউন বা ১.০২ মিলিয়ন ডলার৷ এই আর্থিক মূল্যই বিশ্বের যুযুধান দু’পক্ষের শান্তি বৈঠকে ব্যয় করতে চাইছে সংস্থাটি৷ জানান আইক্যানের অন্যতম অধিকর্তা আকিরা কাওয়াসাকি৷

ট্রাম্প ও কিম মধ্যে হতে চলা এই বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই উত্তেজনায় ফুটছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল৷ সীমান্তবর্তী ডিমিলিটারাইজড জোনের পিস হাউসে গতমাসেই হাত মিলিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া৷ দীর্ঘ প্রায় ৬৫ বছরের শত্রুতা ভুলে করমর্দন করতে দেখা গিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন-কে৷ আরও একটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল এই বৈঠক৷ এখান থেকেই বরফ গলতে শুরু করেছিল ওয়াশিংটন ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যেও৷ এরপর প্রকাশ্যে আসে যুযুধান দু’পক্ষ অর্থাৎ ট্রাম্প ও কিমের বৈঠকের খবর৷ শোরগোল পড়ে যায় আন্তর্জাতিক মহলে৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পরে ঠিক হয় ‘নিউট্রাল ভ্যেনু’ সিঙ্গাপুরে ১২ জুন হবে এই ঐতিহাসিক বৈঠক৷ এরই মাঝে সৃষ্টি হয় আরও প্রতিকূলতা৷ তাদের না জানিয়ে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বায়ুসেনা মহড়া করলে ক্ষোভ প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া৷ পাশাপাশি চিনা প্রসিডেন্ট জিংপিংয়ের সঙ্গে কিম বৈঠক করলে তাতেও রেগে যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প৷ এমন টানাপোড়েনের অবস্থায় আশঙ্কার মেঘ জমতে থাকে ১২ জুনের বৈঠককে কেন্দ্র করে৷ তবে সম্প্রতি হোয়াইট হাউস থেকে নিশ্চিত করা হয় নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়েই হচ্ছে বিশ্বের দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের কাঙ্খিত বৈঠক৷

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন