
ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে ভার্জিনিয়ার মার্কিন অ্যাটর্নির পদত্যাগ


মিনারা হেলেন: ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন অ্যাটর্নি এরিক সিবার্ট শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে কথিত মর্টগেজ জালিয়াতির তদন্ত শুরু করার জন্য তার ওপর চাপ দিচ্ছিল।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দুই ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, সিবার্টের জায়গায় একজন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আসবেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক টাইমসও তার পদত্যাগের খবর প্রকাশ করে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি সিবার্টকে 'সরিয়ে দিতে' চান। তাকে অনুমোদন দিয়েছিল দুই ডেমোক্র্যাট সিনেটর, যারা আমার মতে সবচেয়ে খারাপ।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর তথ্যমতে, সম্প্রতি সিবার্ট বিচার বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন যে তার অফিস জেমসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ খুঁজে পায়নি।
নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার পর থেকেই ট্রাম্প জেমসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত মাসে নিউ ইয়র্কের আপিল আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের দেওয়ানি জালিয়াতি জরিমানা বাতিল করে দিলেও মামলা পুরোপুরি খারিজ করেনি।
জেমসের বিরুদ্ধে মামলাটি এসেছিল ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স অথরিটি (এফএইচএফএ)-র রেফারেলের ভিত্তিতে, যার নেতৃত্বে আছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিল পুল্টে। তিনি এজেন্সির তথ্য ব্যবহার করে অভিযোগ তুলেছিলেন যে ট্রাম্পবিরোধীরা বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে অবৈধভাবে সুবিধাজনক ঋণের শর্ত পেয়েছেন।
জেমস ছাড়াও, পুল্টে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর অ্যাডাম শিফ এবং ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড অব গভর্নর্সের সদস্য লিসা কুকের বিরুদ্ধেও একই ধরনের মর্টগেজ জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিলেন।
তারা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, এই তদন্তগুলো স্পষ্টতই প্রেসিডেন্ট যাদের শত্রু মনে করেন তাদের টার্গেট করার প্রচেষ্টা।
গত এপ্রিলে পুল্টে প্রথমবার জেমসের ভার্জিনিয়ার মর্টগেজ নিয়ে ফৌজদারি রেফারেল করেন।
তার সংস্থার রেফারেল নথিতে লেখা ছিল: ২০২৩ সালে নরফক, ভার্জিনিয়া সম্পত্তি ক্রয় ও মর্টগেজ করার সময় মিস জেমস ছিলেন নিউ ইয়র্কের দায়িত্বে থাকা অ্যাটর্নি জেনারেল এবং আইনের দৃষ্টিতে তার নিউ ইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করা বাধ্যতামূলক। অথচ তার মর্টগেজ আবেদনপত্রে নরফক, ভার্জিনিয়ার সম্পত্তিকেই প্রধান বাসস্থান হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বিচার বিভাগের ভেতরে এই মামলার একটি অংশ দেওয়া হয়েছিল এড মার্টিনকে, যিনি মার্কিন অ্যাটর্নি হিসেবে সেনেট অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হন এবং পরে তাকে বিচার বিভাগের নতুন 'অস্ত্রায়ন ওয়ার্কিং গ্রুপ'-এর নেতৃত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়।
পুল্টে এবং মার্টিন দুজনেই প্রকাশ্যে এই মামলাগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন—যা সাধারণত অভিযোগ গঠনের আগেই তদন্তকারীরা করতে চান না।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প কোনো প্রমাণ ছাড়াই বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে তিনি (জেমস) সত্যিই কোনো না কোনো অপরাধে জড়িত, তবে আমি নিশ্চিত নই।'
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।] বিপি। সিএসআপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন




গাজা শান্তি সম্মেলনে ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ‘সুন্দরী’ বললেন ট্রাম্প

ভারতের ৩ কাশির সিরাপের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা
