১৪ অক্টোবর ২০২৫

ভাংরীতেই জীবিকা লালমনিরহাটের বৈদ্যনাথের

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ভাংরীতেই জীবিকা লালমনিরহাটের বৈদ্যনাথের

লালমনিরহাট থেকে সংবাদদাতা: বরই ও তেঁতুলের আচারের বিনিময়ে পুরাতন, পরিত্যক্ত ও ভাঙ্গা প্লাস্টিক সামগ্রী, টিন,লোহা,বই,খাতা,কাগজপত্র, বোতল, স্যান্ডেল ইত্যাদি সংগ্রহ ও বিক্রি করে সংসার চালান বৃদ্ধ বৈদ্যনাথ। প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ভাংরী ব্যবসায় নিয়োজিত বৈদ্যনাথের লালমনিরহাটের চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের বেতগাড়ী এলাকায় বাড়ি। একসময় অন্যের বাড়ীতে কাজ করা বৈদ্যনাথের কর্মক্ষমতা লোপ পাওয়ায় ভাংরী দোকান থেকে ৩'শ টাকায় কেনা ভাঙ্গা একটি বাই সাইকেলে ব্যাগ,বস্তা আর আঁচার সহ পায়ে হেঁটে ছুটে চলেন একগ্রাম থেকে অন্যগ্রামে।

টিনের কৌটায় তৈরী একটি বাদ্যযন্ত্রে জানান দেন তাঁর আগমনের বার্তা। পুরনো পরিত্যক্ত বিভিন্ন সামগ্রী হাতে নিয়ে বৈদ্যের কাছে ছুটে আসেন নারী ও শিশুরা। বৈদ্য তাদের সন্তুষ্ট করেন নিজ বাড়ীর তৈরি আঁচার দিয়ে।কোনো কোনো দিন ২০ থেকে ৩০ টাকা নগদও পান তিনি। আবার সারাদিনের সংগৃহীত সামগ্রী সন্ধ্যাবেলা ভাংরীদোকানে বেচে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা হাতে আসে তাঁর। এভাবেই চলে স্বামী স্ত্রীর সংসার যুদ্ধ। মেয়ে দুটোর বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে সন্তান নেই আছে ভিটের একখন্ড জমি আর কোনোরকম একটি থাকার ঘর। বয়স ৬৮ হলেও আইডিতে ৫৬ বছর,জুটেনি বয়স্ক ভাতা বা আর কোনো সুবিধা বলে জানান বৈদ্যনাথ। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর উপকারভোগীর খাতায় তার নামটা চলে আসুক এ প্রতিবেদকের নিকট এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেন ভাংরী ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন