১৫ অক্টোবর ২০২৫

‘ভারত রত্ন’ সম্মাননা নেবে না ভূপেন হাজারিকার পরিবার

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
‘ভারত রত্ন’ সম্মাননা নেবে না ভূপেন হাজারিকার পরিবার
বিনোদন ডেস্ক: এ বছর উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ভূপেন হাজারিকাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ভারত রত্ন উপাধিতে ভূষিত করেছে ভারত সরকার। ভূপেন হাজারিকাকে কেন আগেই এ সম্মাননা দেয়া হয়নি তার জন্য দুঃখ ও উষ্মা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এ সম্মাননা গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে শিল্পীর পরিবার। ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামের সাদিয়ায় ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ৮৫ বছর বয়সে ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই হাসপাতালে তিনি মারা যান। ভূপেন হাজারিকা আসামের মানুষ হলেও তিনি ছিলেন বাঙালিদের ভালোবাসার শিল্পী। তিনি প্রচুর বাংলা গান গেয়েছেন। অসমিয়া, বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। সিনেমায় তিনি বহু নেপথ্য সংগীতও গেয়েছেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও প্রচুর গান গেয়েছেন তিনি। তাঁর গান শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১১ সালে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রদান করে। ভূপেন হাজারিকা ছিলেন সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, চলচ্চিত্রকার এবং কবি। তিনি সংস্কৃতি অঙ্গনের ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পদক পেয়েছেন ১৯৯২ সালে। ২০০৯ সালে পেয়েছেন আসামরত্ন পদক, ১৯৭৭ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী, রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণ পেয়েছেন ২০০১ সালে, পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন ২০১২ সালে। আরও পেয়েছেন সংগীত নাটক একাডেমি পদকসহ বহু পুরস্কার ও পদক। রাজ্যটিতে বিজেপি সরকারের তৈরি নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বিতর্কের জেরে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে চান না শিল্পীর ছেলে তেজ হাজারিকা। যে বিলের কারণে নাগরিত্ব হারাবে লাখ লাখ মানুষ। তেজ হাজারিকা বলেছেন, আমি আসামের পরিস্থিতি জানি। বাবা সবসময় আসামের মানুষের সংগ্রামে পাশে ছিলেন। তিনি হয়তো এই সংকটময় মুহূর্তে এ সম্মাননা গ্রহণ করতে চাইতেন না। তাই তার ছেলে হিসেবে আমিও ভারত সরকারের দেয়া এ মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করতে চাই না। এই মুহূর্তে আমি আসামের মানুষের জন্য শুধু এটুকুই করতে পারি। আমার মন ও বিবেক আমাকে সম্মাননা গ্রহণ না করতেই উপদেশ দিচ্ছে। সঙ্গীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন বাবা, তিনি সব সম্মাননার উর্ধ্বে। বিপি/সিএস
[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন