১৪ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের দীর্ঘতম রেলরোড বগিবিল সেতুর উদ্বোধন...

Logo
বাংলা প্রেস প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
ভারতের দীর্ঘতম রেলরোড বগিবিল সেতুর উদ্বোধন...

বাংলাপ্রেস ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসাম রাজ্যে দেশটির দীর্ঘতম রেলরোড বগিবিল সেতুর উদ্বোধন করেছেন। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতু ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ডিব্রুগড় এবং ধেমাচিকে যুক্ত করবে। ১৯৯৭ সালে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের প্রায় ২১ বছর পর এটির নির্মাণ সম্পন্ন হলো। খবর এনডিটিভি, আনন্দাবাজারের।

বগিবিল সেতুর উদ্বোধনের সঙ্গে তিনশুকিয়া-নাহারলাগুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসেরও সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এশিয়ার দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেল ও সড়ক সংযোগকারী এই সেতু ১২০ বছর পর্যন্ত টিকবে।

দ্বিতল এই সেতুর নিচের অংশে দুই লাইনের রেল-ট্র্যাক রয়েছে। ওপরের তলে রয়েছে তিন লেনের রাস্তা, যা দিল্লি ও ডিব্রুগড়ের মধ্যে রেলপথে যাত্রার সময় প্রায় তিন ঘণ্টা কমিয়ে দেবে।

ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ ঝালাইয়ের সাহায্যে এই রেলরোড সেতুটি তৈরি করা হয়েছে। তারা বলছেন, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে রেলরোড সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম হবে।

১৯৯৭ সালে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া। কিন্তু এটির কাজ শুরু হতে আরও পাঁচ বছর লেগে যায়। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে বগিবিল সেতুর কাজ শুরু হয়। পরে মনমোহন সিংহ সেতুটিকে জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করেন। আর মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) অটলবিহারীর জন্মদিনে সেই সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর নাম জড়ানো এই সেতু ও দুই পারের সংযোগকারী রাস্তা তৈরিতে পাঁচ হাজার ৯২০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। যদিও সেতুটি নির্মাণের সময় এর প্রাথমিক বাজেট ধরা হয়েছিল ৩,২০০ কোটি রুপি। সেসময় সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৪.৩১ কিলোমিটার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তবে বর্তমানে এটির দৈর্ঘ্য ৪.৯ কিলোমিটার।

প্রকৌশলীরা বলছেন, ৭৭ হাজার মেট্রিকটন ইস্পাতে তৈরি, ৪২টি স্তম্ভের উপরে থাকা এই সেতুটি ভূমিকম্পরোধী প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

সেতুটির নির্মাণকাজ দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে প্রধান স্থপতি মহিন্দর সিং বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যার জন্য নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই সেতুটির নির্মাণ কাজ চলত।

বলা হচ্ছে, ভারতের দীর্ঘতম ও এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বিতল সেতুতে প্রয়োজনে যুদ্ধবিমানও নামতে পারবে। আর সেতুটি নাকি এতোটাই মজবুত যে এটির ওপর দিয়ে খুব সহজেই ট্যাঙ্কার যাতায়াত করতে পারবে।

উল্লেখ্য, বগিবিল সেতু নির্মাণের ফলে দুর্গম আনজাউ, চাংলাং, লোহিত, দিবাং উপত্যকা, অরুণাচল প্রদেশের তিরাপ এলাকার বাসিন্দারা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। অরুণাচলের ইন্দো-চীন সীমান্তের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই সেতুটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিপি/কেজে

[বাংলা প্রেস হলো মুক্ত চিন্তার একটি বৈশ্বিক প্রচার মাধ্যম। এটি স্বাধীনচেতা মানুষের জন্য নিরপেক্ষ সংবাদ, বিশ্লেষণ ও মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজকের দিনে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]

মন্তব্য (0)

আলোচনায় যোগ দিন

আপনার মতামত শেয়ার করতে এবং অন্যান্য পাঠকদের সাথে যুক্ত হতে দয়া করে লগইন করুন।

এখনো কোন মন্তব্য নেই

Be the first to share your thoughts on this article!

আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন