
যতো প্রয়োজন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে টাকা দেয়া হবে : অর্থমন্ত্রী


বাংলাপ্রেস ডেস্ক: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টাকার অভাব হবে না, যতো প্রয়োজন ততো দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী। কিছু অসঙ্গতি থাকলেও এবারের বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
শুক্রবার (১২ জুন) বিকেলে বাজেট পরবর্তী অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু অসঙ্গতি সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তারপরও এই বাজেট বাস্তবায়নে আশাবাদী তিনি। করোনার প্রভাব থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতেই সবচেয়ে বেশি নজর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সে কারণে রাজস্ব আদায় নিয়ে খুব বেশি ভাবেননি।
স্বাস্থ্যখাতে কোনো টাকার হবে না জানিয়ে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'স্বাস্থখাতে যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা লাগবে দেয়া যাবে। সেবা বাড়ানোর জন্য যত টাকা লাগবে তত দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য টাকার কোনো অভাব হবে না।'
করোনার প্রকোপ এড়াতে মার্চের শেষ দিকে শুরু হয় সাধারণ ছুটি। চলে দুই মাসেরও বেশি। বন্ধ থাকে পরিবহণ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানা। কিন্তু, তাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি কত, তার কোনো হিসাবই নেই সরকারের কাছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য উপাত্ত যতটুকু পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতেই বাজেট তৈরি করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটে অসঙ্গতি থাকার কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'অসঙ্গতি আছে। তবে, এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ, রাজস্ব লক্ষ্য হবে। এ বছরের বাজটে মানুষ রক্ষা করার বাজেট। অর্থ পাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা করিনি। আগে মানুষ বাঁচাবো। আগে খরচ করবো, পরে আয় করবো।'
করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট আলোচনায় সবচেয়ে বেশি এসেছে স্বাস্থ্যখাত। অর্থমন্ত্রীর দাবি, যথেষ্ঠ গুরুত্ব পেয়েছে এ খাত। ভবিষ্যতেও টাকার অভাব হবে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
টাকা পাচারের অভিযোগে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কর দিতে হবে ৫০ শতাংশ। বৃহষ্পতিবার বাজেট বক্তব্যে এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শুক্রবার জানালেন অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইনের সংশোধন করা দরকার। সংবাদ সম্মেলনে অর্থমমন্ত্রী জানান, অন্য দেশের মতোই পুঁজিবাজারে হস্তক্ষেপ করতে চায় না সরকার। অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলে তার সুফল হিসেবে এমনিতেই চাঙ্গা হবে পুজিঁবাজার।
বিপি/আর এল
আপনি এগুলোও পছন্দ করতে পারেন





