মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে টিসিবির কার্ডধারীদের পরিচয় গোপন করে ভূয়া নামে টিসিবির কার্ড তৈরি ও বিতরণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন ও চেয়ারম্যান শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে রোববার ৯ ( জুন) উপজেলা নির্বাহী অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সুবিধাভোগীরা।
অনিয়মের কথা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, কার্ডগুলো আমি নিজে বিতরণ করছি এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। তবে আমি বাইরে আছি বিষয়টি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের টিসিবির কার্ডধারী চায়না বেগম নামের সাথে মিল রেখে অন্য চায়না বেগমের নামে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এরকম অনেক সুবিধাভোগীদের কার্ড নবায়নের নাম করে জমা নিয়ে তাদের আর নতুন কার্ড দেয়া হয়নি । শুধু নাম নয় পুরো তথ্যের গড়মিল করে টিসিবির কার্ডে স্বজনপ্রীতি সহ বহুবিধ সুবিধার বিনিময়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন এর যোগসাজশে এমন অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ সুবিধাভোগীদের।
আজমিরা বেগম নামে এক সুবিধাভোগী বলেন, প্রকৃত অসচ্ছল ব্যক্তিদের টিসিবির কার্ড কেটে দিয়ে মেম্বার চেয়ারম্যানের আত্মীয়কে টিসিবির কার্ড করে দেয়া হয়েছে। এমন দুর্নীতি করলে গরীবরা কোথায় যাবে।
চায়না বেগম বলেন, আমার নামের টিসিবির কার্ড কেটে দিয়ে আমজাদ মেম্বার অন্য ভূয়া নামে আমাকে কার্ড দিয়েছে, তাই আমি চাই আমার কার্ড আমাকে ফেরত দেয়া হউক।
মাসুরা নামে আরেক সুবিধাভোগী অভিযোগ করে বলেন,এলাকার ২৫ জন সুবিধাভোগীর স্বাক্ষর নিয়ে এ অভিযোগ দেয় হয়েছে। ইউনিয়ন জুড়ে এমন শত শত মানুষের কার্ড কেটে দিয়েছে। আমরা সরকারের এমন উদ্যোগের কারনে অনেক উপকৃত হউ। কিন্তু মেম্বর চেয়ারম্যানের এমন অনিয়মের কারনে আমরা কার্ড থেকে বঞ্চিত হলাম। আমরা এর বিচার চাই।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম শফি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মৌখিকভাবে অনেকেই অভিযোগ করেছে তবে আমি রেজুলেশন খাতা করে মেম্বারদের টিসিবির কার্ড বিতরণ করতে বলেছিলাম। এতে অনিয়মের বিষয়টি আমার জানা নেই।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, ভুক্তভোগীরা অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিপি/কেজে