বাংলাপ্রেস ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ব্যভিচার তথা বেআইনি প্রক্রিয়ায় বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সংস্থা এপি জানায়, মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) পাকিস্তানের একটি আদালতে বুশরার সাবেক স্বামী ইমরান খান ও তার বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত ইসলামি আইন ‘ইদ্দত’ পালন বিষয়ে অভিযোগে করেছেন।
ইসলামি শরিয়া মতে, স্বামীর মৃত্যু কিংবা বিবাহ বিচ্ছেদের পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ত্রীকে এক বাড়িতে থাকতে হয়, অন্য কোথাও যেতে পারে না বা অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারেন না সেই সময়টুকুকে ‘ইদ্দত’ বলা হয়। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থায় কারাবন্দী ইমরান খানকে উপস্থিত রেখে এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন বিচারক। তবে স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে বুশরা বিবি উপস্থিত ছিলেন না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুশরা বিবির বিয়ের ৬ বছর পর তার সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা সম্প্রতি ইমরান খান ও বুশরার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বুশরা ইদ্দত পালন করেননি এবং ইদ্দত পালন না করেই বিয়ে করার মাধ্যমে তাঁরা ব্যভিচার করেছেন।
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বুশরাকে তালাক দেওয়ার পর ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে ইমরান ও বুশরা প্রথমবার বিয়ে করেন। কিন্তু ইসলামি রীতি আনুসারে এই সময়টা ছিল বুশরা বিবির জন্য ইদ্দতকাল বা অপেক্ষার সময়কাল। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা আবার বিয়ে করেন বলে অভিযোগে করেন মানেকা।
মানেকার অভিযোগ, বুশরা মানেকার স্ত্রী থাকা অবস্থায়ও তার বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন ইমরান। তার অনুপস্থিতিতে ‘আধ্যাত্মিক নিরাময়ের অজুহাতে’ দীর্ঘ সময় অবস্থান করতেন, যা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অনৈতিকও।
গত বছরের আগস্টে থেকে একাধিক মামলয়ায় গ্রেপ্তার আছেন ইমরান খান। বর্তমানে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী অবস্থায় তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান আছে। তোষাখানা, রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস, আদালত অবমাননার মামলা সহ অনেকগুলো মামলার কার্যক্রম চলছে। গত মাসে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট সাইফার মামলায় ইমরান খানকে ‘নির্দোষ’ ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে ইমরানের বিরুদ্ধে, তবে তার দাবি ক্ষমতাসীনদের সাথে সমঝোতা না করার কারণে তার ও তার দলের বিরুদ্ধে এ অবিচার হচ্ছে।
বিপি/টিআই