সাইফ উল্লাহ, স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের ছাতকে দু’টি বাল্কহেডে চুরি করে পালানোর সময় ৪ চোরকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ছাতক শহরের পুরাতন কাষ্টম রোড এলাকায় সুরমা নদীতে নোঙ্গর করা দুটি কার্গো বাল্কহেডে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাল্কহেডের শ্রমিকদের সহায়তায় ছাতক নৌ-পুলিশের একটি দল ধাওয়া করে চার চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় চোরদের ব্যবহৃত একটি কাঠ বডির ইঞ্জিন চালিত নৌকাও আটক করা হয়। ছাতক নৌ-পুলিশের এস আই আকবর হোসেন চোরদের ব্যবহৃত নৌকা থেকে ৩০ লিটার চোরাই জ্বালানি তেল উদ্ধার করেন। আটক এক আসামির কাছ থেকে ৮ হাজার ৫ শত টাকা সহ তেল চুরিতে ব্যবহৃত একটি পাইপ উদ্ধার করা নৌকা সহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছে কোম্পানীগঞ্জ থানার তেলিখাল ইউনিয়নের গৌখালের পাড় এলাকার মদরিছ আলীর পুত্র এমরান আহমদ (৩০), একই এলাকার এরশাদুর মিয়ার পুত্র আরাফাত আলী (২৫) ও ছাতক পৌর সভার চরেরবন্দ এলাকার আকিল আলীর পুত্র আলমগীর (২৬) এবং জুলাই মিয়ার পুত্র জামিল হোসেন (২৮)। বাল্কহেড এমভি তায়েবা ও এম ভি তাকবির নৌ পরিবহন থেকে চোরেরা রাতে এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ও ৩০ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে পালানোর সময় ৪ জনকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা সহ আটক করা হয়। অপর ৪ জন নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ চুরির ঘটনায় আটক ৪ জন সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার থানায় মামলা( নং ১০) দায়ের করেন এমঅভি তায়েবা বাল্ক হেডের সুকানি বরগুনা জেলার জাঙ্গালিয়া এলাকার বাসিন্দা মো: কাশেম।
এ মামলায় আটক ৪ জন ছাড়াও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামের রফিক মিয়া, ফখরুল, ফয়জুল ইসলাম ও তেলিখাল ইউনিয়নের তেলিখাল গ্রামের রায়হান আহমদ কে আসামি করা হয়েছে। ছাতক নৌ- পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আকবর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটক ৩ জনকে উদ্ধারকৃত মালামাল সহ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বিপি/টিআই