বাংলাপ্রেস ডেস্ক: যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত আছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সোমবার লন্ডনে ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার এক অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দিয়েছেন।
ক্যামেরন বলেন, আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবো এবং এ ইস্যুকে আরও গতিশীল করতে জাতিসংঘেও কাজ করবে। আমাদের মিত্ররা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। কারণ, যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতিতে নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে গত কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষ হওয়ার পথ সুগম হবে।
বক্তব্যে ক্যামেরন বলেন, নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে ফিলিস্তিনের জনগণ যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা ইতোমধ্যে ‘পরিণত’ হয়েছে। এখন একে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া তাদের এই আন্দোলন ন্যায্য এবং ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে সমর্থন দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর দীর্ঘ ঐতিহ্য ব্রিটেনের রয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আরও কারণ রয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কেবল একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতা নয় বরং এটি মধ্যপ্রাচ্য থেকে সন্ত্রাসবাদেরও বিদায় ঘণ্টা। আমাদের স্বীকৃতি দেওয়ার একটি কারণ হলো আমরা ওই অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ স্থায়ীভাবে নির্মূল করতে চাই। এই অঞ্চলটিকে আমাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা প্রয়োজন এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ব্যাপারটি সহজ করবে। বর্তমানে সেখানে যে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে, অস্থায়ী বিরতি তার কোনো সমাধান নয়। সেখানে প্রয়োজন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি।
ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করে ক্যামেরন বলেন, ইসরায়েল হয়তো তার তার অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পেরেছে, নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পেরেছে, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনীও গড়ে তুলেছে। কিন্তু নাগরিকদের নিরাপত্তা তারা নিশ্চিত করতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা এবং ইসরায়েলের গত কয়েক দশকের ইতিহাস মূলত এই ব্যর্থতার ইতিহাস।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজায় মানবিক বিরতি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। আমরা মনে করি এই আলোচনা সফল হওয়ার ওপর আসলে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন অনেকাংশ নির্ভর করছে। খবর: বিবিসি
বিপি/টিআই