বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শুরু থেকেই বিভিন্ন মাত্রার শৈত্যপ্রবাহে জেলার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ জেলায় তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেখান থেকে মঙ্গলবার একটু বেড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামে শীতের দাপট যেন কোনোভাবেই কমছে না। ঘন কুয়াশার সাথে যুক্ত হয়েছে হিমেল হাওয়া। এছাড়াও মেঘের আনাগোনা আকাশে থাকায় শীতের ঠান্ডা আরও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দিনের বেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায় না। তবে গত দুই দিন ধরে সকাল দশটার পর সূর্য উঠলেও স্থায়ী হচ্ছে না। কিন্তু রোদের উত্তাপ মেঘের কারণে তেমন নেই বলে মানুষের মাঝে তেমন স্বস্তি নেই।
গত কয়েকদিনের টানা শৈত্য প্রবাহে জেলার নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। দুইদিন ধরে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছেন কেউ কেউ। বোরো বীজতলার পাশাপাশি আলু ক্ষেতের চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। আলুর লেট ব্লাইট রোগের কারণে গোঁড়া পচনে আবাদে ঘাটতি হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
এছাড়া জেলার আড়াইশ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন শীতের রোগীরা ভিড় করছেন। ‘হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান সর্দার শিপন বলেন, এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৩৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী অর্ধশতাধিক। তারা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
বিপি/টিআই