নিজস্ব প্রতিবেদক: মেক্সিকোসহ বিভিন্ন সীমান্ত পথে লক্ষ লক্ষ আশ্রয় প্রত্যাশী প্রার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আসা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেন ইমিগ্রেশন সিস্টেমকে ঢেলে সাজানোর অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে আশ্রয় প্রত্যাশী প্রার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের বহিস্কারে সামরিক শক্তি ব্যবহার করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি নির্ধারকদের বরাত দিয়ে বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
ডেমোক্রেটদের ধরাশায়ী করতে রিপাবলিকানরা আশ্রয় প্রত্যাশী প্রার্থীদের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুঝতে পেরে তিনি কিছুটা কঠোরতা অবলম্বন করছেন। কিন্তু বুধবার ওয়াশিংটন পোস্ট একটি অমানবিক খবর দেয়। পোস্টের সাংবাদিকরা বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবরের বরাত দিয়ে লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি নির্ধারকরা তার সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট হলে অবৈধ অভিবাসীদের থামাতে এবং আমেরিকার অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে মিলিটারিকে ব্যবহার করা হবে। গত মেয়াদেও তিনি অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে, ধরতে এবং ডিপোর্ট করতে মিলিটারি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এবার তিনি মরিয়া হয়ে উঠবেন বলে জানতে পেরেছে পোস্ট। এবারের নির্বাচনেও মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি ইমিগ্রেশনকেই তার মূল এজেন্ডা রাখবেন এবং ডিপোর্টেশনকে যত কঠোরভাবেই হোক না কেন বাস্তবায়ন করবেন।
ট্রাম্প ক্যাম্পেইন সূত্রের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, দায়িত্ব গ্রহণের সাথে সাথে তিনি যে ডিপোর্টেশন কার্যক্রম শুরু করবেন তা এতটাই কঠোরতর হবে যা এর আগে আমেরিকায় ঘটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডুইট আইজেনহাওয়ার কঠোর ও নির্দয়ভাবে ডিপোর্টেশন করেছেন লক্ষ লক্ষ ইমিগ্রান্টকে। তাদের ক্ষেত খামার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা থেকে ধরে ভাঙা গাড়িতে অনেককে গাদাগাদি করে ডিপোর্ট করা হতো। এই যাত্রায় অনেকে মারা গেলেও প্রশাসন গুরুত্ব দেয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগণকে ব্যবহার করে ড্রোনের মাধ্যমে ইমিগ্রান্টদের শনাক্ত করে, মিলিটারি বেসে তাদের ডিটেইন করে, মিলিটারির তত্ত্বাবধানে মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট প্লেনে চড়িয়ে ডিপোর্ট করা হবে বলে জানিয়েছে পোস্ট।
ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন মুখপাত্র ক্যারোলাইন লিভিট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমেরিকানরা আশা করতে পারে যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওভাল অফিসে ফিরে আসার সাথে সাথেই, তিনি তার সমস্ত পূর্বের নীতিগুলি পুনরুদ্ধার করবেন, একেবারে নতুন ক্র্যাকডাউনগুলি বাস্তবায়ন করবেন যা বিশ্বের সমস্ত অপরাধী চোরাকারবারীদের কাছে শক ওয়েভ পাঠাবে এবং প্রতিটি ফেডারেল ও রাষ্ট্রীয় শক্তিকে ইনস্টিটিউট করার জন্য প্রয়োজনীয় মার্শাল করবে। আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাসন।’
ক্যারোলাইন আরো বলেন, আডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টদের স্বস্তি পাওয়ার কারণ নেই, কারণ খুব শিগগিরই তারা বাড়ি ফিরছে। তার ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয়েছে, ইমিগ্রান্টদের ক্র্যাকডাউন করতে তিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে বিপুল সংখ্যক কমীর্ নিয়োগ দেবেন।
বিপি।এসএম