বাংলাপ্রেস ডেস্ক: আগামী মাসে শুরু হতে যাচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ৫৪৩ আসনের এই নিম্নকক্ষ আইনসভার নির্বাচন হবে ৭টি ভিন্ন ধাপে। শনিবার (১৬ মার্চ) দিল্লির বিজ্ঞানভবনে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) রাজীব কুমার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১ম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফায় ৭ মে, চতুর্থ দফায় ১৩ মে, পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফায় ২৫ মে এবং সপ্তম দফায় ভোট হবে ১ জুন। ভোট গণনার দিন ধার্য্য করা হয়েছে ৪ জুন।
এবারের নির্বাচনে দেশটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। ভোটকেন্দ্র থাকবে সাড়ে ১০ লাখ। ১৯ লাখ নির্বাচনী কর্মী এবারের নির্বাচন পরিচালনার দ্বায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। ভোট গ্রহণে ব্যবহার হবে ৫৫ লাখ ইভিএম।
দেশটিতে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছে এমন নতুন ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮৫ লাখ। অপরদিকে ১৮ থেকে ৩০ বছরের ভোটার রয়েছে সাড়ে ২১ কোটি।
নির্বাচনে পুরুষ ভোটার রয়েছে ৪৯ কোটি ৭০ লাখ। অপরদিকে নারী ভোটারের সংখ্যা ৪৭ কোটি ১০ লাখ। ৪৮ হাজার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। ৮৫ বছরের বেশি বয়স এমন ভোটার রয়েছে ৮২ লাখ। যাদের বয়স ৮৫ বছরের বেশি তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে না, বরং নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের ভোট নেয়া হবে। দেশটির ১২টি রাজ্যে পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।
সিইসি রাজীব কুমার বলেছেন, তিন বছরের বেশি কোনো কর্মচারী যিনি পূর্বে বিধানসভা কিংবা পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও সেই এলাকায় চাকরি করতেন, এমন কাউকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অপরদিকে অস্থায়ী, বহিরাগত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদেরও নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। বিশৃঙ্খলার ব্যাপারে কোন আপস করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজীব কুমার।
কিছু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ও কিছু আসনের উপনির্বাচন লোকসভা নির্বাচনের সাথেই হবে বলে জানানো হয়। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সারা ভারতজুড়ে ২৬টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা উপনির্বাচন।
উল্লেখ্য, ভারতের বর্তমান লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুনে। তার আগে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে।
বিপি/টিআই