নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি (জেএফকে) বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম হট্টগোল ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে এসে পৌঁছালে তাঁকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ালীগীর দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর টার্মিনালের সামনে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আগত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান মন্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত গাড়িতে উঠেন।
আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মন্ত্রীর বিমান অবতণের আগেই সিদ্ধান্ত হয় যে উভয়েই দু’পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবেন মন্ত্রী বের হবার সময় সবার সঙ্গেই দেখা করবেন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী বের হবার সময় আওয়ামী লীগের কতিপয় উচ্ছৃংখলকর্মী লাইন ভেঙ্গে তাঁর দিকে এগিয়ে গিয়ে ফুলের তোড়া দেবার চেষ্টা করলে অন্যরাও হুমড়ি খেয়ে এগিয়ে যান, ফলে বিচ্ছৃংখলার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ্ব ও বিবাদ আজ স্বচক্ষে দেখলেন বলে উল্লেখ করেন সূত্রটি।
উল্লেখ্য, জাতিংসংঘে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা দিবসের বিশেষ সভায় যোগ দিতে তিন দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় গুলশান টেরেসে মতবিনিময় সভায়ও অংশ নেবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের আভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বের ফলে নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগকে মতবিনিময় সভার আয়োজনের দায়িত্ব দিয়েছেন দলীয় নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের গোপন নেতৃত্বে তার পছন্দের লোকেরা স্বেচ্ছায় হট্টগোলের করেছেন বলে বিমানবন্দরে উপস্থিত নেতকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। তারা বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা যদি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ব্যানারে হতো তাহলে বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটতো না।
এ ব্যপারে মতামত জানতে ড. সিদ্দিকুর রহমান, নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও সাধারন সম্পাদক শাহীন আজমলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
বিপি।এসএম