বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লি যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারপ্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি শুক্রবার দুপুর ২টায় দিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।
চলতি জুনে ভারতে এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর। এর আগে গত ৮ জুন প্রতিবেশী দেশটির মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে যান তিনি। তবে এবারের সফরে আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গুরুত্ব দেবে ঢাকা।
এ ক্ষেত্রে বন্ধু দেশগুলোর কারও কারও পারস্পরিক অস্বস্তিকর সম্পর্কের বিষয়েও সচেতন সরকার। তবে কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চায় না বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত ও চীন সফর প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সম্পর্ক যাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশের এখন লক্ষ্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক বেশি দৃঢ় করা।
বিশ্ব রাজনীতিতে চীন-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন দীর্ঘদিনের। তবে দু’দেশই অর্থনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তা বজায় রাখতে সচেষ্ট। এ ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রও। এমন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক দের কে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, বাংলাদেশ নির্দিষ্ট কোনো রাষ্ট্র বা জোটের প্রতি বেশি নির্ভরশীল হবে না।
তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অস্বস্তিকর সম্পর্কের বিষয়ে সরকার সচেতন। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের আগে বাংলাদেশ এমন কোনোকিছু করবে না যাতে ‘জিরো সাম গেম’ হয়। একই সঙ্গে ভারত সফরে আলোচনায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতেও গুরুত্ব দেবে ঢাকা।
অন্যদিকে বিশ্লেষকদের ভাষ্য, নিজেদের দ্বন্দ্বকে পাশ কাটিয়ে ভারত ও চীনের উচিত হবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়া। সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপট একরকম, আর চীনের সঙ্গে আরেকরকম। তবে এ ক্ষেত্রে আমি ‘বাইনারি সম্পর্ক’ দেখতে আগ্রহী নই। ভারত ও চীনের উচিত হবে নিজেদের দ্বন্দ্বকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়া।
বিপি/টিআই