নিজস্ব প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সোমবার (২২ জুলাই) বলেছেন, ওয়াশিংটন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সব সহিংস ঘটনার নিন্দা জানায় এবং সংঘাত কমিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন আবার ব্যক্ত করছি। আমরা দেখা মাত্র গুলি করার আদেশের নিন্দা জানাই এবং সেটা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাই,’ মিলার তাঁর নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন।
তিনি বলেন ওয়াশিংটন শান্তিপূর্ণ ভাবে অধিকার চর্চা সমর্থন করে, কিন্তু সহিংসতা, সে যে মহল থেকেই আসুক না কেন, তার নিন্দা করে।
‘আমরা বাংলাদেশে সমেবেত হওয়ার স্বাধীনতা সমর্থন করি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমর্থন করি। কিন্তু যখন সহিংসতার প্রশ্ন আসে, সেটা যার হাত দিয়েই হোক না কেন, যারা প্রতিবাদ করছে বা সরকারি কর্তৃপক্ষ, আমরা সব সহিংস ঘটনার নিন্দা করি,’ মিলার বলেন।
‘একই সাথে, সারা দেশে টেলিযোগাযোগ ব্যাহত থাকার খবরে আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন, যেহেতু এটা আমেরিকান নাগরিকসহ বাংলাদেশের জনগণের জরুরী তথ্য সংগ্রহ করার সক্ষমতা সীমিত করে দেয়। আমরা ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি’ তিনি বলেন।
এক প্রশ্নকর্তা সরকারি চাকুরীতে কোটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে মিলার ইস্যুটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেন।
‘কোটা পদ্ধতির ব্যাপারটা, এই ব্যবস্থা থাকবে না বাতিল হবে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তারা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা আমাদের বক্তব্য দেই সহিংসতা নিয়ে, ইন্টারনেট বন্ধ করা নিয়ে, এবং অন্যান্য যে সব বিষয় মৌলিক মানবাধিকার, মানব মর্যাদা, মানুষের স্বাধীনতার উপর প্রভাব ফেলে, সেগুলো নিয়ে,’ মিলার বলেন।
সংবাদ সম্মেলনের শেষে একজন প্রশ্নকর্তা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ড মুহাম্মাদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি কেয়ারটেকার সরকারের প্রসঙ্গ তুললে জবাবে মিলার বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন। ‘বাংলাদেশের জন্য বিকল্প সরকারের বিষয় বাংলাদেশের জনগণের জন্য, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নয়,’ মিলার বলেন।
বিপি।এসএম