নোমান সাবিত: বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেল বিজীয় প্রফেসর ড. ইউনূসের নোবেল পুরুস্কার নিয়ে প্রকাশ্য বিরুপ মন্তব্য করেছেন জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের সাবেক প্রধান সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দীন। তিনি বলেন, নোবেল পুরুস্কার এটা কিছুই না। এটা একটা প্রাইজ মাত্র। এক কোটি বা ২ কোটি টাকা মুল্য। গত রোববার জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে প্রবাসীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে একটি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদ মহিউদ্দীনের নেতিবাচক মন্তব্যে নিউ ইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়। অনেকে তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন। তার বক্তব্যের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্কে একটি প্রতিবাদ সভাও হয়েছে। ড. ইউনূসের নিউ ইয়র্ক আগমনের সময় খালেদ মহিউদ্দনীনকে সব ধরণের অনুষ্ঠান থেকে বয়কটের দাবি জানানো হয়। গত ১৫ আগস্ট সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানা-তে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলমের উদ্যোগে আয়োজিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি করা হয় নিউ ইয়র্কে সদ্য আসা খালেদ মহিউদ্দীনকে। এ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে খালেদ মহিউদ্দীন ড. ইউনূসকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, নোবেল পুরুস্কার এক কোটি বা ২ কোটি টাকা মুল্যের একটি পুরুস্কার মাত্র, এছাড়া এটা কিছুই না। এটা একটা প্রাইজ মাত্র।
তিনি আরও বলেন, এতদিন আপনারা জেনেছেন জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। এটা একটি শব্দ। সংবিধান খুলে দেখেন তাতে কি লেখা আছে? সংবিধানে লেখা আছে জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। ড. ইউনূস হচ্ছে শেখ হাসিনার মত জনগণের চাকর। জনগণের টাকায় তারা বেতন পায়।
তিনি নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমানের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এক সময় নিউ ইয়র্ক-ঢাকা বিমান তো চালু ছিল। বন্ধ হয়েছে এটা কাদের দোষ। পুরোটাই কি সরকারের দোষ নাকি কাদের দোষ, কার দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়েছে এটা খুজে বের করতে হবে আগে। বিমান চালু হলে আবার যে দুর্নীতি হবে না তার কি নিশ্চয়তা আছে।
নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশের বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে নিয়ে সালমান এফ রহমানের ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাবেক সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দীনের অত্যন্ত আপত্তিজনক, উদ্ব্যত্তপূর্ণ ও কাজ্ঞানহীন মন্তবের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন বৈষম্যবিরোধী প্রবাসী সচেতন সমাজ ইউএসএ ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক সমাজ। তারা এ মন্তব্যের কারণে খালেদ মহিউদ্দীনকে প্রধান উপদেষ্টার নিউ ইয়র্ক সফরের সময়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সকল অফিসে বয়কট করার জোরালো দাবি জানান।
এ নিয়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় নিউ ইয়র্কের সচেতন প্রবাসী সমাজ, রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক, কবি, চিকিৎসক, প্রকৈশলীসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর আয়োজিত এ প্রতিবাদ সভায় সভাতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের লং আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শওকত আলী। প্রতিবাদ সভা থেকে পাঠানো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রতিবাদ সভার পরে ড. ইউনূসকে কটাক্ষের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদলিপিতে সই করেছেন, প্রফেসর ড. শওকত আলী, ড.হাসনাত হোসাইন, প্রফেসর ড. জগলুল হায়দার, রিতা রহমান, ড. আবুল কাশেম, ড. মনির আহমেদ, মঈনুদ্দিন নাসের, খন্দকার ফরহাদ, জামাল আহমেদ জনি, আব্দুস সবুর, আহমেদ সোহেল, মোহাম্মদ কিউ জামান, তাসের মাহমুদ খান, শাহ আলম দুলাল, মির্জা আজম, মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, সায়ীদ তারেক, এম রহমান মাসুম, হামিদ সোহেল ও মির্জা আজম প্রমুখ।
বিপি।এসএম