— রাজেকুজ্জামান রতন
বিশ্ব প্রবাসী দিবস ছিল গত ১৮ ডিসেম্বর। বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শ্রমিক প্রেরণকারী দেশ বাংলাদেশ। প্রবাসী শ্রমিকদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। কিন্তু এই যোদ্ধারা যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করলে, যুদ্ধাহত হয়ে ফিরে এলে কিংবা যুদ্ধ শেষে দেশে এলে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করে? বেদনা আর বিষন্নতায় আচ্ছন্ন হয়ে কবি হেলাল হাফিজ লিখেছিলেন ‘নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না’? এই কবিতা কতজন প্রবাসী শ্রমিক পড়েছেন জানা নেই। কিন্তু তাদের বুকের বেদনাও যেন এমনি করে বেদনাময় জিজ্ঞাসা করে রাষ্ট্র, সরকার আর দেশবাসীকে বিলিয়ন ডলার দেখো, আমাদের দুঃখ দেখো না? বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার হিসাব-নিকাশ, ব্যাংকের টাকা কোথায় গেল তার খোঁজ না পাওয়া এবং কয়েকটা ব্যাংক দেউলিয়া না হলেও দুর্বল হয়ে পড়া, রপ্তানি আয়ের টার্গেট নিয়ে দুশ্চিন্তা, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া মানুষের চাপা ক্ষোভে যখন অর্থনীতিতে অশনিসংকেতের আশঙ্কা তখন যেন এক পসলা স্নিগ্ধ হাওয়ার মতো খবর, রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে। মাসে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার আসছে দেশে। পাঠাচ্ছে কারা? যারা কাজের সন্ধানে গিয়েছে বিদেশ বিভুঁইয়ে, কিন্তু মনটা রেখে গিয়েছে দেশে। পৃথিবীর প্রায় ১৫৯টি দেশে জীবিকার সন্ধানে গিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় এত রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আগস্ট মাসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স আরও বেড়ে হয় ২৪০ কোটি ডলার, যা একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় সাড়ে ২১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের অক্টোবর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স আসে। আর গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। আর নভেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১২৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ কোটি ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৫ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ২০ হাজার ডলার। গত কয়েক মাসে এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসার কারণে রিজার্ভ পতনের আতঙ্ক থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া গেছে আর বৈদেশিক ঋণের কিস্তি শোধ করতে অসুবিধা হয়নি।
একদিকে যেমন ডলারের প্রবাহ, অন্যদিকে কিন্তু প্রবাসীদের লাশ আসছে প্রতিনিয়ত। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৩ সাল থেকে গত ৩১ বছরে ৫২ হাজার ৩৭১ প্রবাসীর লাশ দেশে এসেছে। এই তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, প্রতি বছরই লাশের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এর বাইরেও মৃত্যুর ঘটনা আছে এবং সেসব মৃত ব্যক্তির লাশ দেশে আসেনি। অনেক লাশ বিদেশের মাটিতেই দাফন করা হয়। করোনা মহামারীর সময় এই সংখ্যা অনেক বেশি ছিল বলে বোর্ডের কর্মকর্তারাও মনে করেন। প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দেশে এলে বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে দাফন ও লাশ পরিবহনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়, ফলে লাশের একটা হিসাব পাওয়া যায়। সেই হিসাব অনুযায়ী দেখা যায়, ২০০৫ সালের পর থেকে দেশে প্রবাসীদের লাশ আসার সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৫ সালে লাশ এসেছে ১ হাজার ২৪৮ জনের, ২০০৬ সালে ১ হাজার ৪০২, ২০০৭ সালে ১ হাজার ৬৭৩, ২০০৮ সালে ২ হাজার ৯৮, ২০০৯ সালে ২ হাজার ৩১৫, ২০১০ সালে ২ হাজার ৫৬০, ২০১১ সালে ২ হাজার ৫৮৫, ২০১২ সালে ২ হাজার ৮৭৮, ২০১৩ সালে ৩ হাজার ৭৬, ২০১৪ সালে ৩ হাজার ৩৩৫, ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩০৭, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ৪৮১, ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৮৭, ২০১৮ সালে ৩ হাজার ৭৯৩, ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৬৫১ জন, ২০২০ সালে ৩ হাজার ১৪০, ২০২১ সালে ৩ হাজার ৮১৮ জন, ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯০৪, ২০২৩ সালে ৪ হাজার ৫৫২টি লাশ এসেছে দেশে। দেশ বা অঞ্চল অনুযায়ী ভাগ করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি লাশ আসে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে। কাজের জন্য যারা বিদেশে যান তাদের প্রায় সবাই বয়সে তরুণ-যুবক। তাদের কেউ কোনো রোগে মারা গেলে সেটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু দেখা যায়, প্রবাসীদের বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হচ্ছে দুর্ঘটনা। যদিও প্রবাসী কর্মীদের মৃত্যুর কারণ জানতে সরকারিভাবে কোনো গবেষণা হয়নি। তবে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে জানা যায়, প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যান মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত বা ব্রেন স্ট্রোকের কারণে। আবার মৃতদের একটা বড় অংশই মধ্যবয়সী কিংবা তরুণ। এ ছাড়াও হৃদরোগসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সড়ক দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা কিংবা প্রতিপক্ষের হাতেও খুন হন বাংলাদেশিরা। এসব মৃত্যুর ক্ষেত্রে বয়স পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বেশিরভাগই মারা গেছেন ৩৮ থেকে ৪২ বছরের মধ্যে এবং কাজে যোগদান করার অল্প সময়ের মধ্যে। যার আয়ের ওপর স্বপ্ন বুনতে শুরু করে একটি পরিবার তার অকাল মৃত্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার পুরো পরিবার। বেসরকারি সংস্থা অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) ২০২০ সালের একটি জরিপ থেকে দেখা যায়, ৯৫ শতাংশ অভিবাসী কর্মীর মৃত্যুর পর আর্থিক সংকটে পড়ে যায় তার পুরো পরিবার। তার মধ্যে ৫১ শতাংশ পরিবারের ৮০ ভাগ আয় কমে যায়। ফলে প্রভাব পড়ে বহুমুখী। ৮১ শতাংশ পরিবার চিকিৎসা করার সামর্থ্য হারায়, ৬১ শতাংশ পরিবারের সন্তানরা স্কুলে যাওয়ার সক্ষমতা হারায়, আর ৯০ শতাংশ পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে বলে তারা দৈনিক খাবারের পরিমাণ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
প্রবাসী কর্মীর মৃত্যুর পর ৪৮ শতাংশ পরিবারে হতাশা নেমে আসে, সদস্যদের অনেকে বিষণœতায় ভোগে। তা ছাড়া কিছু কিছু পরিবারে স্বাভাবিক শান্তি নষ্ট হয়ে যায়, ঝগড়াঝাটি বাড়ে, এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ এবং নারী সদস্যদের ওপর। প্রবাসীদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ বলা হয় স্ট্রোক ও হৃদরোগ। কেন এর পরিমাণ এত বেশি তা নিয়ে কোনো গবেষণা না থাকলেও অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, এর অন্যতম প্রধান কারণ আকস্মিক আবহাওয়া পরিবর্তন, যার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেন না প্রবাসীরা। মধ্যপ্রাচ্য মূলত মরু আবহাওয়ার দেশ। প্রচণ্ড গরমে প্রতিকূল পরিবেশে অদক্ষ এই বাংলাদেশিরা ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকেন। একদিকে প্রতিকূল পরিবেশ, আরেক দিকে অমানুষিক পরিশ্রম, ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে থাকা, দীর্ঘদিন স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, ঋণ পরিশোধ এবং বিদেশে যাওয়ার খরচ তোলার চিন্তা, কতদিন থাকতে পারবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা এসব যে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে তা স্ট্রোক বা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। প্রবাসে নারী শ্রমিকদের জীবন আর এক বেদনার কাব্য গাথা যেন। দেশে কাজের সম্মান নেই, মজুরিও কম তাই ঝুঁকি আছে জেনেও মধ্যপ্রাচ্যে যেতে আগ্রহী নারী শ্রমিকরা। সাধারণত যেসব দেশে নারী কর্মীরা যায় এগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, জর্দান, ওমান, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, সাইপ্রাস, মৌরিতাস, হংকং, ইতালি, জাপান ইত্যাদি। দেশের তালিকাটা বড় হলেও কাজের বৈচিত্র্য তেমন নেই। স্বল্প শিক্ষিত এবং অদক্ষ নারী শ্রমিকদের প্রধান পেশা গৃহকর্ম এবং প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য। বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী নারীদের বড় অংশ গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরব যায়। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, গত ২০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৯১ জন নারী শ্রমিক বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ২১ হাজার ৯২৫ জন নারী কর্মী বিদেশে গিয়েছেন ২০১৭ সালে। এর আগের বছর এটি ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮ জন। এর আগের বছরেও এক লাখের বেশি ছিল বিদেশে নারীর কর্মসংস্থান। বছরে এক লাখের বেশি কর্মী পাঠানোর এ ধারা অব্যাহত ছিল ২০১৯ সাল পর্যন্ত। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারী শুরুর পর এটি কমতে থাকে। পরের দুই বছর আবার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ২০২২ সালে এটি আবার এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। ১৯৯১ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নারী গৃহকর্মী পাঠানো শুরু হয়। বাংলাদেশ আগে থেকেই ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এসব দেশে গৃহকর্মী পাঠাত। কিন্তু নির্যাতনের অভিযোগে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করে দিলে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করে সৌদি আরব। ফলে সৌদিতে গৃহকর্মী হিসেবে বাংলাদেশি নারী কর্মীদের যাওয়ার পরিমাণ দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মী বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থতা, বাড়ির জন্য কাতর হওয়া, কম বেতন কিংবা বিনা বেতনে কাজ করা, খাদ্যাভ্যাস ও ভাষা সমস্যার পাশাপাশি শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বাড়তে থাকে ব্যাপক হারে। পাশাপাশি মৃত্যুর ঘটনা, দেশে ফিরে এসে সামাজিক লাঞ্চনার ঘটনাও ঘটতে থাকে। যে পরিবারের সমৃদ্ধির জন্য বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে কাজ করা, ফিরে এসে সেই পরিবারে ঠাঁই না পাওয়া এবং দেশে পাঠানো টাকার কোনো খোঁজ না পাওয়ার দুঃখজনক ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা এনে যারা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করেন, তাদের জীবন ও মর্যাদার কথা কি কেউ ভাববে না? যারা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের পরিবারের দায়, বয়সের কারণে ফিরে আসা, দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে, নির্যাতিত হয়ে ফিরে আসাদের দায়িত্ব কি নেবে না সরকার? প্রবাসে তো সারাজীবন কেউ থাকবেন না। সুতরাং ফিরে আসা প্রবাসীদের দেশে পুনর্বাসন করার পরিকল্পনা থাকতে হবে। না হলে তাদের সঞ্চিত অর্থ এবং অর্জিত দক্ষতা কোনো ভালো কাজে লাগবে না। প্রবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণার নানা ঘটনার কথা জানা আছে কিন্তু প্রতিকারের পদক্ষেপ দেখা যায় না। কেন বাংলাদেশ থেকে প্রবাস গমন ব্যয় সব দেশের চাইতে বেশি, বিমান ভাড়া বেশি, পাসপোর্ট পেতে এত হয়রানি এবং অদৃশ্য খরচ বেশি? এক কাজের কথা বলে বিদেশে পাঠিয়ে অন্য কাজে নিয়োগ করার মতো প্রতারণা করার পর ট্রাভেল এজেন্সিগুলো পার পাচ্ছে কীভাবে? প্রবাসীদের সঙ্গে এই প্রতারণা করে দেশের যে ব্যবসায়ীরা তারা কি শাস্তির আওতায় আসবে না কখনো? স্বপ্ন দেখে বিদেশে যাওয়া, পরিবারকে স্বপ্ন দেখানো মানুষগুলোর স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার কষ্ট মোচনের দায়িত্ব কি রাষ্ট্র পালন করবে না?
লেখক: রাজনৈতিক সংগঠক ও কলাম লেখক
বিপি।এসএম