নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৩ অর্থবছরে অভিবাসীকে গ্রেপ্তাররের রেকর্ড গড়েছে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। নানা অপরাধের কারণে এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভাল অপারেশনস (ইআরও) কর্মকর্তারা এসময় ৭৩,৮২২ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ২৯০,১৭৮টি অভিযোগ ও দোষ স্বীকারের রেকর্ড রয়েছে উল্লেখ করেন আইসিই। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইসিই সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া প্রতি ব্যক্তির নামে কমপক্ষে গড়ে চারটি অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অপরাধ ছিল ৩৩,২০৯টি হামলার মামলা, ৪,৩৯০টি যৌন অপরাধ, ৭,৫২০টি অস্ত্র সম্পর্কিত অপরাধ,১,৭১৩টি হত্যার অভিযোগ বা দোষ স্বীকার এবং ১,৬৫৫টি অপহরণের মামলা।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে নানা অপরাধের কারণে ছয় দেশের ২২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। কলোরাডো রাজ্যের বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকায় এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড রিমুভাল অপারেশনস (ইআরও) ডেনভারের কর্মকর্তারা গত বছর ৯ থেকে ২০ ডিসেম্বর ডেনভার শহর ও কাউন্টিতে পরিচালিত এক অভিযানে ২২ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেন। এদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ বা পূর্বে অপরাধমূলক দোষ স্বীকার করার রেকর্ড রয়েছে।
ইআরও ডেনভারের ভারপ্রাপ্ত ফিল্ড অফিস ডিরেক্টর কেলি ওয়াকার বলেন, ‘আমরা আইন প্রয়োগ এবং আমাদের সম্প্রদায় রক্ষা করার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছি। কোনো বাধাই আমাদের মিশন থেকে সরাতে পারবে না। আমরা সৎভাবে আইন প্রয়োগ করব এবং প্রতিটি সুযোগে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব।
উক্ত অভিযানে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে: ১৫ জন মেক্সিকান নাগরিক, ২ জন এল সালভাদর নাগরিক, ২ জন হন্ডুরাস নাগরিক,১ জন গুয়াতেমালা নাগরিক,১ জন কলম্বিয়া নাগরিক ও ১ জন ভেনিজুয়েলা নাগরিক। এই ব্যক্তিরা গুরুতর অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে বা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অপরাধসমূহের মধ্যে রয়েছে: নাবালকের অবৈধ কাজে সহায়তা (ফৌজদারি) – যৌন অপরাধ, শিশু নির্যাতন-অবহেলাজনিত গুরুতর শারীরিক আঘাত,শিশুর প্রতি যৌন আক্রমণ,ভবন চুরির অপরাধ, গ্যাং-সংক্রান্ত অপরাধ, একজন সন্দেহভাজন ট্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং সদস্য, যিনি হত্যা, গুরুতর আঘাত, চারটি ফৌজদারি হামলার অভিযোগ এবং ডাকাতির জন্য অভিযুক্ত। তাকে ৫,০০০ ডলার বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং বর্তমানে সে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার অধীনে রয়েছে।
মাদক-সম্পর্কিত অপরাধ, হেরোইন বিতরণের উদ্দেশ্যে মজুদ, অবৈধ বিক্রয় এবং যানবাহনের আক্রমণ। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো (ডিইউআই) অনেকেই ডিইউআই দোষ স্বীকার করেছেন বা অভিযোগের সম্মুখীন।
আইসিই জাতীয় নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা এবং সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে মনোযোগ দিচ্ছেন। আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসেবে তাদের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে, কর্মকর্তারা অপরাধী ও অভিবাসন আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এই অভিযান জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইসিই-এর অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করবেন বলে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন।
বিপি।এসএম