Home আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন ট্রাম্প

by bnbanglapress
Published: Updated:
A+A-
Reset

 

নোমান সাবিত: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির কাছে পোটোম্যাক নদীর ওপরে মাঝ আকাশে বিমান-হেলিকপ্টার সংঘর্ষের জন্য ডেমোক্র্যাটদের দায়ী করলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম জাতীয় বিপর্যয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ৬৭ জন নিহত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট এবং ফেডারেল সরকারের বৈচিত্র্য উদ্যোগকে দোষারোপ করেন। যদিও তদন্তের কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু ট্রাম্পের মন্তব্যে কোনো অপেক্ষা ছিল না।
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে বাইডেন ও ওবামা প্রশাসনের উপর দোষারোপ করার পেছনে তার কী প্রমাণ আছে।ট্রাম্প বলেন,আমার সাধারণ জ্ঞান আছে, বুঝলেন? দুর্ভাগ্যবশত, অনেকেরই তা নেই।
এই প্রথমবার, ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের ব্রিফিং রুম থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তিনি এটিকে ‘আমাদের জাতির জন্য শোকের মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন কিন্তু দ্রুত পরিচিত স্ক্রিপ্টে চলে যান যা তার প্রথম মেয়াদে দেখা গিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি জীবিত নেই।’ তারপর পুরনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করে তিনি উল্লেখ করেন বৈচিত্র্য উদ্যোগ বিমান চলাচলের মানের অবনতি ঘটিয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং পরিবহন সচিব শন ডাফি তার বক্তব্যকে সমর্থন করেন।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের বিমান চলাচল ব্যবস্থায় কেবলমাত্র সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন লোকদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।’ আমি ওবামার মাপদণ্ডকে খুবই সাধারণ থেকে অসাধারণে রূপান্তর করেছি আপনি নিশ্চয়ই মনে করতে পারেন। শুধু সর্বোচ্চ মেধাবী, বুদ্ধিমান এবং মানসিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিরাই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
ট্রাম্প সাবেক পরিবহন সচিব পিট বুটিজেজকে কটাক্ষ করে বলেন, সে একটি বিশাল ব্যর্থতা। আপনি জানেন সে পরিবহন বিভাগ চালানোর পর থেকে সবকিছু কত খারাপভাবে চলছে? সে একটি বিপর্যয়। সে তার শহরকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় টেলিভিশন সম্প্রচারে পোটোম্যাক নদীতে উদ্ধার কাজের চিত্র দেখানো হচ্ছিল, যা হোয়াইট হাউস থেকে কয়েক মাইল দূরে।
সাবেক পরিবহন সচিব পিট বুটিজেজ সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেখেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন সামরিক বাহিনী ও এফএএ-এর তত্ত্বাবধানে আছেন। তার প্রথম কাজগুলোর একটি ছিল আমাদের আকাশকে নিরাপদ রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বরখাস্ত ও স্থগিত করা। এখন তার উচিত প্রকৃত নেতৃত্ব প্রদর্শন করা। ক্ষমতায় ফিরে আসার পর ১১ দিনের মধ্যে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প, যা তার প্রথম মেয়াদের তুলনায় আরও সুসংহত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবুও বৃহস্পতিবার তিনি পরিষ্কার করেন যে, প্রধান কমান্ডার হিসেবে তিনি তার প্রথম মেয়াদের মতোই স্পষ্টবাদী থাকবেন। তিনি সংবাদকর্মীদের তিরস্কার করেন এবং অনুমান ও সিদ্ধান্তের ধারা শুরু করেন। তিনি বিমানের সংঘর্ষের জন্য দেরিতে আসা সতর্কীকরণকে দায়ী করেন এবং হেলিকপ্টারের উচ্চতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
ট্রাম্প একটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্মারক জারি করে বিমান নিরাপত্তার নীতি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা তিনি বাইডেন প্রশাসনের অধীনে হওয়া ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, বাইডেন প্রশাসনের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) নীতির পরিবর্তে যোগ্যতাকে সর্বোচ্চ স্থানে রাখা উচিত। হ্যাঁ ওবামা কিছুটা ঠিক ছিল,কিন্তু বাইডেন আরও খারাপ।
এই মারাত্মক বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত মাত্র শুরু হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসন বর্তমান সরকারি কর্মচারীদের দায়ী করছে। প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের বিখ্যাত উক্তি ‘দ্য বাক স্টপস হিয়ার’-এর পরিবর্তে ট্রাম্প প্রথমেই দোষারোপ করতে উদ্যোগী।

বিপি।এসএম

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী