ইমা এলিস: যুক্তরাষ্ট্রের আটক কেন্দ্রগুলোতে সীমিত ধারণক্ষমতার কারণে আটকের পর অভিবাসী ছেড়ে দিচ্ছেন মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই)। এ বিষয় নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিবিএস নিউজ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কারাগারের ধারণক্ষমতা ছিল ১০৯ শতাংশ। ফলে আগের দিন মঙ্গলবার ১৬০ অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের তথ্য উল্লেখ করে সিবিএস নিউজ সংবাদটি প্রকাশ করেন।
আইসিই সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা প্রতিটি সমাধান খুঁজছি। যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা। আমাদের রাজ্য ও স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে কাজ করতে হচ্ছে। বাড়তি তহবিলের জন্য কংগ্রেসে আবেদন করা এবং বিচার বিভাগের অভিবাসন বিচারকদের দ্বারা কার্যকর রিমুভাল অর্ডার প্রাপ্ত অপরাধমূলক বিদেশিদের দ্রুত বহির্গত করতে মামলার ফাইলগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যালোচনা করতে হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আইসিই কর্মকর্তাদের বর্ডার রেইড ও গ্রেপ্তারের ব্যাপ্তি বাড়ানোর জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন। সেখানে ‘বর্ডার সিজার’ টম হোম্যান প্রেসিডেন্টের প্রথম সপ্তাহে মিলিটারি বিমানে নির্বাসন ফ্লাইট প্রচারের কথা বলেছেন।
হোম্যান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন পরিকল্পনাগুলি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য কমপক্ষে ১ লাখ আটক শয্যার প্রয়োজন হবে। আইসিই এজেন্টদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে হবে।
গত মাসে প্রাপ্ত একটি অভ্যন্তরীণ মেমোর উদ্ধৃতি দিয়ে সিবিএস নিউজ উল্লেখ করেন আইসিই কর্মকর্তারা ১৪টি নতুন আটক সাইট খোলার পরিকল্পনা করছেন যেখানে প্রতিটি সাইটে ১ হাজার করে আটক ব্যক্তি থাকতে পারবে। এছাড়াও চারটি বৃহত্তর সুবিধা রয়েছে যেখানে প্রতিটি স্থানে ১০হাজার শয্যার ব্যবস্থা থাকবে।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন গুয়ানতানামো বে সুবিধাটি ব্যবহার করা হবে তাদের আটক ব্যক্তিদের রাখার জন্য যারা বৈধ অবস্থা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার পর নির্বাসিত হচ্ছেন।
বিপি।এসএম