নোমান সাবিত: রবিবার এক পোস্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, যদি বর্তমান শাসনব্যবস্থা ইরানকে ‘আবার মহান’ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেখানে ‘রেজিম চেঞ্জ’ বা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হতে পারে।
‘রেজিম চেঞ্জ’ শব্দটা বলা রাজনৈতিকভাবে সঠিক নয়, কিন্তু যদি বর্তমান ইরানি শাসকগোষ্ঠী ইরানকে মহান করতে না পারে, তাহলে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন হবে না কেন? ‘মিগা!(ইরানকে আবার মহান করো)’ ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল এ এমনটাই লেখেন।
শনিবার ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ করেছে। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতে সরাসরি জড়িয়ে পড়ল, যা শুরু হয়েছিল ১৩ জুন। এর আগে থেকেই গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ এবং ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ঘিরে উত্তেজনা চরমে ছিল।
শনিবার রাতের এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের ‘বুলি’ ইরানকে এখন শান্তির পথ বেছে নিতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় (ডিএইচএস) এক সতর্কতা জারি করে জানায়, ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর দেশে একটি ‘উচ্চতর ঝুঁকির পরিবেশ’ তৈরি হয়েছে। রবিবার একটি জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি (এনটিএএস বুলেটিন) প্রকাশ করে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে, বিশেষ করে সাইবার হামলার সম্ভাবনা নিয়ে, যা ইরানপন্থী বা সরকারের সাথে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে আসতে পারে।
এদিকে, জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেইলি বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা যেন ইরানে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের খেলায় না জড়াই।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একমাত্র ফোকাস হওয়া উচিত জাতীয় নিরাপত্তা। ইরানি শাসনব্যবস্থা বহু বছর ধরেই আমেরিকাকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দিয়ে আসছে।’
[বাংলা প্রেস বিশ্বব্যাপী মুক্তচিন্তার একটি সংবাদমাধ্যম। স্বাধীনচেতা ব্যক্তিদের জন্য নিরপেক্ষ খবর, বিশ্লেষণ এবং মন্তব্য সরবরাহ করে। আমাদের লক্ষ্য হলো ইতিবাচক পরিবর্তন আনা, যা আজ আগের চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।]
বিপি।এসএম