Home আন্তর্জাতিক আমি কখনোই মাস্কের বিরোধী ছিলাম না

আমি কখনোই মাস্কের বিরোধী ছিলাম না

by Dhaka Office
A+A-
Reset

বাংলাপ্রেস ডেস্ক: যুক্তরাস্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার। এই অবস্থায় সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে নানা প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

যুক্তরাস্ট্রে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৩ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার। এই অবস্থায় সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে নানা প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

উইসকনসিনের এলকহার্ট লেকে ইন্ডিকার রেসিং এ জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। করোনা মহামারীর শুরুর পর এই প্রথম এ্যাতো বড় একটি ক্রীড়া আয়োজন। সেখানে মাস্ক পরাকে গুরুত্ব দেয়া হয়, বাধ্যতামূলক করা হয়নি।

ইন্ডিকার রেসিং ফ্যান ম্যাট বার্গ; “এই ট্র্যাকটি বিশ্বের সবচেয়ে ভালো রেসিং ট্র্যাকের মধ্যে অন্যতম প্রধান। তারা যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। আমার তেমন উদ্বেগ নেই”।

আরেক ফ্যান জিম কোসার্টের মতে, “এখানকার সকল কর্মী, ড্রাইভার, সকলেই মাস্ক পরছেন। তবে উপস্থিত সবাই সে ব্যাপারে অতো সতর্ক মনে হয়নি”।

করোনার বিস্তার এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি যেসব রাজ্যে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে ফ্লরিডা। ফ্লোরিডার বিখ্যাত ডিজনী ওয়ার্ল্ড রিজোর্ট গত ক’মাস বন্ধ থাকার পর এই প্রথম খোলা হলো। তবে দর্শনার্থীদের জন্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী স্বাস্থ্য মন্ত্রী এ্যাডমিরাল ব্রেট গিরোইরের মতে, “এই মুহুর্তে আমাদের কাছে যেসব তথ্য উপাত্ত রয়েছে তাতে মাস্ক পরার কোনো নেতিবাচক দিক নেই”।

এ্যডমিরাল ব্রেট মাস্ক পরার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি মনে করেন মাস্ক পরার মাধ্যমে করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রন করা সম্ভবে; বিশেষ করে যেসব এলাকায় করোনার বিস্তার বেশী।

“জন সমাগমে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরা উচিৎ। আমরা জানি এতে করে অন্যদের মাঝে করোনার বিস্তার কমবে। এজন্য করোনার সংক্রমণ যেসব স্থানে বেশি সেখানে অন্তত ৯০ শতাংশ মানুষ যাতে মাস্ক পরেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা না করতে পারলে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না”।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে মাস্ক পরে উপস্থিত হয়েছেন। মেরিল্যান্ডের বেথেসদায় ওয়াল্টার রিড আর্মি নামের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র সফরকালে তিনি মাস্ক পরে যান।

“আমার মতে আপনারা যখন হাসপাতালে আসবেন, বিশেষ করে যেখানে সেনা সদস্যদের এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের অপরেশন হয়; সেখানে যাবার জন্যে মাস্ক পরার একটা উপযুক্ত সময়। আমি কখনোই মাস্কের বিরোধী ছিলাম না। তবে আমার মতে মাস্ক পরার একটা সময় ও স্থান আছে”।

লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে এক প্রশ্ন উত্তর অনুষ্ঠানে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃটেনে শক্ত সতর্কতা জারির আভাস দেন। স্কটল্যান্ডে দোকানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

“মুখ ঢাকা, অবশ্য করনীয়। নির্দিষ্ট কিছু স্থান, বিশেষ করে বদ্ধ স্থান, যানবাহন, দোকান এসব স্থানে মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে”।

স্বাস্থ্য কর্মীদের মাস্ক পরাটা শুধু গুরুত্বপূর্নই নয়; এতে করোনার বিস্তার এবং সংক্রমণ রোধ হয়। এ্যাডমিরাল ব্রেট, “বারগুলো বন্ধ করা দরকার। রেস্টুরেন্ট সীমিতভাবে খোলা উচিৎ। শারিরিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরূরী। জনসমক্ষ্যে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এটা খুব দরকার। সর্বপোরি ভালো মানের জীবানু নাশক দিয়ে হাত ধুতে হবে”।

এ্যাডমিরাল ব্রেট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব পরামর্শ দিচ্ছেন, সেসব ঠিকমতো মেনে চললে যুক্তরাস্ট্র করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবে বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কারন গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে করোনার সংক্রমণের দিক দিয়ে। এ অবস্থায় সতর্ক হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই; বলেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা।

বিপি/আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী