আজমীর হোসেন তালুকদার, ঝালকাঠি থেকে : ঝালকাঠিতে সালিশ মীমাংসা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে শ্যালক গ্রুপ ও ভগ্নিপতি গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহর যুবলীগ সভাপতির পুত্র তথা শ্যালক আরিফ গ্রুপের ৭ জন ও ভগ্নিপতি মন্টু হাওলাদার গ্রুপের ৬জন আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে।
গত ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টায় ঝালকাঠি শহরের লঞ্চঘাট, ভেরিবাঁধ এলাকায় ও রাতে গুরুধাম এলাকার বানী ডায়গনাষ্টিক সেন্টারের সম্মুখে এ সহিংস হামলা-সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সরকার দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উক্ত দুগ্রপে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে জনমনে উদ্বেগ ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে শহর জুড়ে ব্যাপক পুলিশী তৎপরতা শুরু হলে পরিবেশ শান্ত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরপেক্ষ একটি সূত্র জানায়, শহরের কলাবাগান এলাকায় হানিফের মেয়ে মুক্তার সাথে একই এলাকার আফান মিয়ার ছেলে আবিরের সাথে বিয়ে হলে শ্বশুরের বিরুদ্ধে কুদৃষ্টি ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বাবার বাড়ী চলে আসে।
বিষয়টি নিয়ে বাহিরে জানাজানি ও নানারকম কানাঘুসা সৃষ্টি হলে সালিশ মিমাংসার জন্য ছেলে পক্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী শহর যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হক খলিফার মেয়ে জামাই মন্টু হাওলাদারের স্মরনাপন্ন হয়। অন্যদিকে মেয়েপক্ষ হক খলিফার পুত্র আরিফ ও আমিন খলিফাকে শালিশদার করে। যুবলীগ সভাপতি আব্দুল হক ইতিপূর্বে পৌর কাউন্সিলর নির্বাচন করলেও সম্প্রতি মেয়ে জামাই মন্টুসহ তার ৪ভাইয়ের একজন কাউন্সিলর নির্বাচন করার ঘোষনা দিলে দুই পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও মারমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
সূত্রটি আরো জানায়, এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে সালিশীতে বসলে দুপক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ে পক্ষের সালিশদার শ্যালক আরিফ খলিফার (৪০) ও তার সঙ্গীদের অন্যপক্ষের সালিশদার ভগ্নিপতি মন্টু হাওলাদারসহ তার লোকজন মারধর করে। পরে ভগ্নিপতি মন্টু তার লোকজন নিয়ে লঞ্চঘাট সংলগ্ন ভেরীবাধে তার দোকানে আসলে অপর শ্যালক আমিন খলিফা বড় ভাইকে মারার কারন জানতে গেলে ভগ্নিপতি মন্টুর সামনে তার ভাই মিন্টু-মনির-সোহেলসহ তাদের সঙ্গীরা তাকেও মারধর করে ও ধাড়ালো
অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী ভগ্নিপতি মন্টু হাওলাদার জানান, এক দম্পত্তির শালিসিকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রæতার জের ধরে সন্ত্রাসী আরিফ খলিফা তার বাহীনি দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় তাকে, তার ছোট মন্টু, মনির, ছাত্রলীগের নেতা সোহেল ৩ভাই, ব্যাবসায়ী শাওন, তাওহিদ, জুবায়েরসহ ৬ জন হামলা মারধরে আহত হয়। এসময় হামলাকারী আরিফ ও তার সন্ত্রাসী লোকজন দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামল লুটপাট করে। আহতদের সবাইকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয় যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হক খলিফা জানায়, তার ছেলেদের উপর লঞ্চঘাট- কলাবাগান এলাকায় হামলার পর চিকিৎসা ও এক্সরে করার জন্য গুরুধাম এলাকার বানি ডায়গোনাষ্টিক সেন্টারে পাঠালে মেয়ে জামাই মন্টুর ভাই মিন্টু ও সোহেল সেখানের মাইনুল, জুবায়েরসহ কিছু ভাড়াটে লোকজন নিয়ে পুনরায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করে। কয়েক দফা মারধরে আমীন ও আরিফ খলিফাসহ তাদের বন্ধু সুজন, হাসান, বিপ্লব, বাপ্পি, নয়নসহ ৭জন আহত হয়েছে।
এব্যাপারে সদর থানার অফসিার ইন র্চাজ (ওসি) মোঃ খললিুর রহমান জানান, সংর্ঘষরে খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনা স্থলে ছুটে যান ও পরিস্থিতি নয়িন্ত্রণ করেন। তবে সংঘর্ষে জড়িতরা আগেই সরে পরায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এরিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিপি/আর এল