দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন আসাদুল হকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক যুবলীগ নেতা আসাদুল ও জাহাঙ্গীরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে হিলির হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক করা হয় স্থানীয় যুবলীগ নেতা আসাদুল হককে। হাকিমপুর, বিরামপুর ও ঘোড়াঘাট থানা এবং র্যাবের যৌথ অভিযানে হিলির কালিগঞ্জ এলাকায় বোনের বাসা থেকে আটক করে আসাদুলকে। এরপর আসাদুলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দিনাজপুরের র্যাবের সদস্যরা নিজ বাসা থেকে আটক করে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে।
ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ কষিগারি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪২) ২০১৭ সাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। একই উপজেলার ওসমানপুর সাগরপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩৫) স্থানীয় যুবলীগের সদস্য।
এ দুজন ছাড়াও আটক করা হয়েছে নৈশপ্রহরী নাহিদ হোসেন পলাশ, চিংড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুদ ও নবীরুল ইসলামকে। শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে নবীরুল ইসলামকে (৩৮) ঘোড়াঘাট উপজেলা সংলগ্ন চক বামনদিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানায় মামলা করেন তার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন। বুধবার মধ্যরাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর কেটে দুর্বৃত্তরা তার শয়নকক্ষে ঢুকে পড়ে।
এর আগে তারা বাসার নিরাপত্তাপ্রহরীকে বেঁধে প্রহরীকক্ষে তালা দিয়ে আটকে রাখে। দুর্বৃত্তরা ওয়াহিদা ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলীকে (৭০) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। আহত বাবা-মেয়েকে বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।
বিপি/আর এল