বাংলাপ্রেস ডেস্ক: অতুলনীয় ভারত। এদেশের মতো বৈচিত্রময় দেশ গোটা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন। নাহলে ভাবুন না, একই রাজ্যে একেবারে দুই মেরুর ছবি দেখতে পাওয়া সম্ভব? একদিকে পুলিশকে মাদক পাচারকারীদের চক্র ফাঁস করার কড়া নির্দেশ দিয়েছে কর্ণাটক প্রশাসন। আর অন্য দিকে সে রাজ্যেই নাকি মন্দিরে প্রসাদ হিসেবে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে গাঁজা!
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সবই যেন মায়ার খেলা। প্রকাশ্যে গাঁজা (Marijuana) সেবন যেমন একাধারে অপরাধ, তেমনই গঙ্গাসাগর মেলার মতো উৎসবে শামিল হলে চোখে পড়ে ভিন্ন দৃশ্য। মাদকের গন্ধ আর ঘন ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় চতুর্দিক। মূলত সাধু কিংবা সাধকদেরই মাদক সেবন করতে দেখা যায় সেসব স্থানে। কিন্তু কর্ণাটকের মন্দিরগুলির ছবিটা একটু আলাদা। সেখানে ভক্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় গাঁজা। ঈশ্বরের পবিত্র প্রসাদ হিসেবে মাথায় ঠেকিয়েই তা সেবন করে থাকেন অনেকে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আধ্যাত্মিক আনন্দকে স্পর্শ করা যাবে। এই বিশ্বাসেই বিভিন্ন উপজাতির ভক্তরা প্রসাদের গাঁজা সেবন করে থাকেন।
যদগির জেলার থিন্থিনিতে অবস্থিত মৌনেশ্বর মন্দিরে এমন দৃশ্য অত্যন্ত স্বাভাবিক। প্রতিদিনের প্রসাদে তো বটেই, প্রতি বছর জানুয়ারিতে মন্দির চত্বরে আয়োজিত পুজোতেও মেলে বিশেষ প্রসাদ। প্রত্যেককে প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয় এক প্যাকেট করে গাঁজা। মৌনেশ্বরকে পুজো দেওয়ার পর ওই বিশেষ প্রসাদ সেবন করেন ভক্তরা। জানুয়ারি মাসের এই মেলায় সাধু-সন্ন্যাসীরা তো বটেই যে কোনও সাধারণ মানুষ এই প্রসাদ পেতে পারেন বলেই জানিয়েছেন মন্দির কমিটির এক সদস্য। মারিজুয়ানা কিংবা পাউডারও এই সময় প্রকাশ্যে সেবন করা যায়। এবং অদ্ভুতভাবেই তাকে নেশার পর্যায়ে ফেলা হয় না। মন্দিরেরও দাবি, ফূর্তি করার জন্য গাঁজা দেওয়া হয় না।
এক ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সেখানকার ভক্তদের উপজাতির কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক অধ্যাপিকা। যিনি জানান, যাঁরা প্রসাদ হিসেবে গাঁজা সেবন করেন, তাঁরা কিন্তু অন্যসময় মাদকের নেশা করেন না। শুধুমাত্র ঈশ্বরের আশীর্বাদ পেতেই এই অভ্যাস তৈরি করেছেন তাঁরা।
বিপি/আর এল