বাংলাপ্রেস ডেস্ক: ক্ষমা মানুষের একটি মহৎ গুণ ও সৎকাজ। মহান আল্লাহর ঘোষণা সৎ কাজের বিনিময়ে মিলবে উত্তম পুরস্কার। যদি কোনো মানুষ অন্য কোনো মানুষকে ক্ষমা করে তবে মহান আল্লাহও তাকে ক্ষমার মতো মহান প্রতিদান দান করবেন। কেননা আল্লাহ তাআলা নিজে ক্ষমাশীল; আর তিনি ক্ষমাকারীকে ভালোবাসেন।
ক্ষমা আল্লাহর মহা অনুগ্রহ। ক্ষমার প্রতিদান হিসেবে ক্ষমা পাওয়ার রয়েছে অনেক উপায়। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তার এ নেয়ামতের কথা কোরআনুল কারিমে আয়াত নাজিল করে জানিয়ে দিয়েছেন এভাবে-
هَلْ جَزَاء الْإِحْسَانِ إِلَّا الْإِحْسَانُ
‘সৎকাজের বিনিময় উত্তম পুরস্কার ব্যতিত আর কি হতে পারে?’ (সুরা আর-রহমান : আয়াত ৬০)
মানুষ দুনিয়াতে ছোট ছোট বিষয়ে ক্ষমা করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেবে। জাহান্নামের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পাবে। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘোষণায় তা ওঠে এসেছে-
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আগের যুগে এক ব্যক্তি ছিল; যে মানুষকে ঋণ প্রদান করতো। সে তার কর্মচারীকে বলে দিত, ‘তুমি যখন কোনো গরিবের কাছে টাকা আদায় করতে যাও, তখন তাকে ছাড় দিও (বা মাফ করে দিও)। হয়তো আল্লাহ তাআলা এ কারণে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন সে (মারা যায় এবং) আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ করে, তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।’ (বুখারি, মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে- ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি রহম বা দয়া করে না; মহান আল্লাহও ওই বান্দার প্রতি অনুগ্রহ বা দয়া করেন না।’ অর্থাৎ মহান আল্লাহর ঘোষণা তিনি সৎ কাজের বিনিময়ে দান করেন উত্তম পুরস্কার।
সুতরাং মানুষের প্রতি দয়া বা রহম করার ব্যাপারে ছাড় দিলে মহান আল্লাহও অনেক বড় বড় বিষয়ে বান্দাকে ছাড় দেবেন। এমনকি তাতে মিলবে পরকালের মুক্তি।
তাই কোরআনুল কারিমের ঘোষণার বাস্তবায়নে হাদিসের দিকনির্দেশনা উপর আমল করাই মুমিন মুসলমানের একান্ত কাজ। যার বিনিময়ে মিলবে ক্ষমা ও পুরস্কার।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যে কোনো ছোট বিষয় একে অপরকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার তাওফিক দান করুন। ক্ষমার ও সৎকাজের বিনিময়ে ক্ষমা ও উত্তম পুরস্কার পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিপি।এসএম