Home বাংলাদেশঢাকা কাশ্মীরি কুল চাষে লোকমান ও শহীদের ভাগ্যের পরিবর্তন

কাশ্মীরি কুল চাষে লোকমান ও শহীদের ভাগ্যের পরিবর্তন

by বাংলাপ্রেস ডেস্ক
Published: Updated:
A+A-
Reset

নরসিংদী প্রতিনিধি: বরই বাগান করে চেষ্ঠায় সফলতা পেয়েছে শিবপুরের লোকমান ও শহীদ। পাঁচ ফুট উচ্চতার একেকটি গাছ। ডালে থোকায় থোকায় ধরে আছে বরই। ফলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। পরিপক্ব বরইগুলো দেখতে লাল আপেলের মতো। স্বাদে মিষ্টি। কাশ্মীরি আপেল কুল হিসেবে পরিচিত। কাশ্মীরি আপেল কুল দেখতে অনেকটা ছোট সাইজের আপেলের মতো। আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল রং। অধিক পুষ্টিগুন ও সুস্বাধু। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আর নিরাপদ ও বিষমুক্ত কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে প্রথম বছরেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার চক্রধা ইউনিয়নের পূর্বেরগাও গ্রামের লোকমান খান ও শহীদ মৃধা।

তাঁরা পেশায় গাড়ী চালক। শারীরিক সমস্যার কারনে লোকমান এখন আর গাড়ি চালাতে পারছেন না। শহীদ মৃধা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তারা দুজনে ভাড়া নিয়ে ১শ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন কাশ্মিরি আপেল কুলের বাগান। পুরো বাগান জুড়েই লাল-সবুজের সমারহ। লাভের আশায় তাদের মুখে দেখা দিয়েছে হাসিক ঝিলিক। লোকমান একই গ্রামের মৃত এবারত খানের ছেলে ও শহীদ মৃধা মৃত হালিম মৃধার ছেলে।

১শ শতাংশ জমিতে ৬শ টি কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুলসহ ১০ জাতের চারা রোপন করেন গতবছর বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে। চারা রোপনের প্রথম বছরেই ফুল আসে প্রতিটি গাছে। বর্তমানে বাগানের প্রতিটি গাছে আপেল কুল ঝুলছে। কুলের গায়ে রং আসতে শুরু হরেছে। দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠেছে পুরো বাগানটি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন কাশ্মীরি আপেল কুল বাগান দেখতে আসছে। অনেকেই নতুন নতুন বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে অনেকেই।

পূবেরগাঁও গ্রামে সেলিম,আরিফুল, সানাউল্লাহ ও মোমেন খানের কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান রয়েছে। কাশ্মীরি আপেল কুল চাষি লোকমান বলেন, আমি পেশায় একজন ড্রাইভার দীর্ঘদিন গাড়ি চালিয়েছি। এখন শাররীক সমস্যার করনে গাড়ি চালাতে পারছি না তাই দুই জনে মিলে জমি ভাড়া নিয়ে কাশ্মীরি আপেল কুলের বাগান করার করি।

আমাদের এ পর্যন্ত খরচ হবে প্রায় ২ লাখ টাকা। বাগানে ফলন খুবই ভাল হয়েছে। সামনে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে, আশা করছি ৫ লাখ থেকে ৬লাখ টাকা কুল বিক্রয় করতে পারব। রৌদ্রজ্জ্বল, উচুঁ জমিতে কুল বাগান ভালো হয়। যে বাগানে যত বেশি রোদের আলো লাগবে সেই জমির কুল বেশি মিষ্টি হবে। ৫-৬ হাত দুরত্ব গাছের চারা রোপণ করতে হয়। তুলানামূলক রোগ-বালাইও কম।

শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক জানান, উপজেলায় ১৪ বিঘা জামিতে কাশ্মীরি আপেল কুল, বল সুন্দরী কুল, বাউকুলসহ বিভিন্ন জাতের বাগান রয়েছে। বাগান পরিদশর্ন করে পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিপি/আর এল

You may also like

Leave a Comment

কানেকটিকাট, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বৃহত্তম বাংলা অনলাইন সংবাদপত্র

ফোন: +১-৮৬০-৯৭০-৭৫৭৫   ইমেইল: [email protected]
স্বত্ব © ২০১৫-২০২৩ বাংলা প্রেস | সম্পাদক ও প্রকাশক: ছাবেদ সাথী