ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগে এক গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দিয়েছে। এতে করে ওই গৃহবধূর দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী কাজী পাড়া গ্রামের মো. জাহিদ মিয়া একই গ্রামের মো. আবু বক্কর শেখের ছেলে সোবহান শেখ (২৮) এর সাথে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। এক সঙ্গে কাজ করার সুবাদে সোবহান শেখ প্রায় জাহিদের বাড়িতে যাতায়াত করত। গত ৮ মে রাত অনুমান সাড়ে আটটার দিকে সোবহান শেখ ওই বাড়িতে গিয়ে কমল জাতীয় পানির সাথে স্বামী ও স্ত্রীকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে জাহিদের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এতে করে ওই গৃহবধূর পরের দিন সকালে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয় এবং তার
দুই মাসের গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।
গৃহবধূর শারিরিক অবস্থা অবনতি হলে শুক্রবার (১৩.০৫.২২) সকালে তাকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গৃহবূর মা নাছিমা বেগম বলেন, সোবহান শেখ আমার মেয়ে এবং জামাইকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। আর ওই ঔষধের কারনেই মেয়ের গর্ভের দুই মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে সোবহান আমাদের পরিবারকে ভঁয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমরা গত বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, উভয় পক্ষই আমার খুব কাছের লোক তাদেরকে ডেকে বিষয়টি শুনামেলা করে মিমাংশা করে দেওয়া হবে।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূ গতকাল হাসপাতালে আসলে আমরা তাকে আলট্রাসনো করার জন্য পাঠাই এবং রির্পোটে দেখা যায় তার গর্ভের সন্তান এভোশন অবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য আজ ( শুক্রবার ১৩.০৫.২২) তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিপি/কেজে