ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার (২৬.০৬.২২) সকালে এক পক্ষের অতর্কিত হামলায় ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের পাঁচ জনকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শুকদেবনগর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম খান এবং একই গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দেলোয়ার শরীফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।
শনিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় শুকদেবনগর গ্রামের আকু শেখের ছেলে মো. রাজ্জাক শেখ (১৬), পার্শ্ববর্তী শিরগ্রাম বাজার থেকে বাড়ি আসার সময় মাঝপথে একই গ্রামের আলমগীরের ছেলে এবাদত শেখ সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে বেদম মারপিট করে। এ সংবাদ থানা পুলিশকে জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। এ ঘটনার রেশ ধরেই রবিবার (২৬.০৬.২২) সকালে নজরুল খানের সমর্থকেরা অতর্কিতভাবে দেলোয়ার শরীফের লোকজনের উপর হামলা চালায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করে। হামলায় এ সময় ২৫ জন আহত হয়।
আহতরা বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মারাত্মক আহত চারজন হলেন- শুকদেবনগর
গ্রামের আব্দুল্লাহ, ইকরাম (৪২), কামাল শেখ (৪০), আলমগীর শেখ (৪৮) ও মো. সেলিম (২৮)কে মারাত্মক আহত অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলার সংবাদ পেয়ে বোয়ালমারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উভয় গ্রুপের ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে মো. দেলোয়ার শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নজরুল খানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আমার দলের রাজ্জাক নামের একটি ছেলেকে মারধোর করে। আবার ওই রাতেই কিছু লোককে নজরুল খানের দলে ভিড়িয়ে খাওয়াদাওয়া করে। রবিবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য কাসেদ ও রেজাউল শেখের নেতৃত্বে আমার দলীয় আকু শেখ, ওদুদ শেখ, জাকু শেখ, ওবায়দুর শেখসহ অনেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লোকজনকে আহত করে।
অতর্কিত হামলার বিষয়ে মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, সকালে দেলোয়ার শরীফের লোকজন আমার দলের জালাল শেখ, ফরিদ শেখ ও ইউসুফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ইউসুফের স্ত্রী বিলকিস খানমকে মারধর এবং লাঞ্চিত করে। এরপর তাদের উপর হামলা হয়।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব জানান, গোলমালের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে উভয় গ্রুপের ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এখনও কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বিপি/কেজে