মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে মোঃ রায়হান ইসলাম (২২) নামের এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার ছিনতাইকারী মোঃ রায়হান ইসলাম, মহানগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(মিডিয়া) মোঃ রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার শিরোইল মঠপুকুরের বাসিন্দা মোঃ তারিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি (১২ আগস্ট) রাতে শ্বশুর বাড়ি মোহনপুর হতে মোটরসাইকেলে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
এদিন রাত পৌনে ৯ টায় শাহমখদুম থানার ভুগরইল মোড়ে পৌঁছালে, দুইজন ছিনতাইকারী দ্রুত গতিতে একটি মোটরসাইকেলে এসে তার স্ত্রীর হাতে থাকা ভ্যানেটি ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় তারা সেখানে মোটরসাইকেল নিয়ে পড়ে যায়।
ওই সময় স্থানীয়দের সহায়তায় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ছিনতাইকারী মোঃ রায়হান ইসলামকে আটক করে। তবে তার সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এসময় কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ভ্যানাটি ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে জব্দ করা হয় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি। পলাতক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যপারে গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শনিবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতেক প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান নগর পুলিশের এই মুখপাত্র।
চাপাইনবাবগঞ্জে সড়ে ৪কোটি টাকার হেরোইনসহ কৃষক ছদ্মবেশী মাদক চোরাচালানের মূল হোতা গ্রেফতার
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহীর চাপাইনবাবগঞ্জে সড়ে ৪ কোটি টাকার হেরোইনসহ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম (৩৫) নামের এক কৃষক ছদ্মবেশী মাদক চোরাচালানের মূল হোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানাধীন চরকোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক কারবারি মোঃ জিয়ারুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চরকোদালকাটি জেলেপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
শনিবার বিকালে রাব-৫, রাজশাহীর মোল্লা ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একটি মাদক চোরাচালান চক্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বর্ডার এলাকা দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য চোরাচালান করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী এবং রাজধানীসহ দেশের সকল প্রান্তে মাদক সরবরাহ করে আসছিল।
মাদকের সন্ধানে র্যাব-৫, দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে চক্রটির সন্ধান পাওয়ার পর তাদের নজরদারি করতে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যমতে চক্রটি বিভিন্ন সময় বর্ডার থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে খুব কম সময়ের মধ্যে তা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রেন, ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যমে অভিনব কায়দায় পাচার করে আসছিল। গোয়েন্দাদল এটাও সনাক্ত করে যে, পাচারের পূর্বে চক্রটির মূল হোতা জিয়ারুল বর্ডার হতে মাদক সংগ্রহ করে রাতে কিছু সময়ের জন্য তা মজুদ করে।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৫, এর গোয়েন্দা দল জানতে পারে (১২ আগস্ট) রাতে এই চক্রের একটি বড় চালান ভারত থেকে পাচার হয়ে চাপাইনবাবগঞ্জে ঢুকবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে দূর্গম চর এলাকায় ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে র্যাবের অপারেশন দল দীর্ঘ ৮/৯ ঘন্টা এ্যাম্বুশ করে বসে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ৩টায় মোঃ জিয়ারুল ইসলামের বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশী করার সময় ১ জন ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে গেলেও মাদক চোরাচালান চক্রের মূল হোতা জিয়ারুলকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জিয়ারুল হেরোইন মজুদের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার ঘরে প্লেন সিটের নীচে অভিনব কায়দায় লুকানো অবস্থায় মজুদকৃত হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, তার সাথে থেকে পালানো ব্যক্তি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত। তারা বর্ডার এলাকায় কৃষিকাজের আড়ালে সীমান্তের ওপার থেকে কৃষকের ছদ্মবেশে হেরোইন চোরাচালান করে থাকে। এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা একই পন্থায় মাদক সরবরাহ করেছে বলেও স্বীকার করে মাদক কারবারি জিয়ারুল।
এ ব্যাপারে গ্রেফতার মাদক কারবারির বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় র্যাব-৫।
বিপি/কেজে