মমিনুল হক রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভায় স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর শাখার বিধিমোতাবেক কিছু শূণ্যপদে লোক নিয়োগে মেয়র শিব শংকর দাস এর বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।পৌরসভার ‘সহকারী কর আদায়কারী’ ‘হিসাব সহকারী’ ‘টিকাদানকারী(পুরুষ)’ ও টিকাদানকারী(মহিলা)’এই চারটি শূণ্য পদে চারজন লোক নিয়োগের নিমিত্তে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। সহকারী কর আদায়কারী প্রার্থী সুমাইয়া ইসলাম লাকী ও টিকাদানকারী (মহিলা) পদে শারমিন আক্তার শনিবার ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিক দের কাছে মেয়রের স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরেন। তারা পৃথকভাবে জেলা প্রশাসক বরবারে দুইটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।বিষয়টি নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে এবং চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই প্রেক্ষিতে সচেতন নাগরিক হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম ইসলাম তিনিও জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
১৭ ডিসেম্বর এর ওই সব পদে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সময় নির্ধারণ থাকলেও এই নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠায় পৌর কর্তৃপক্ষ তা স্থগিত করেন এবং স্থগিতাদেশ নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেন।
ওই অভিযোগগুলোর সূত্রে জানা যায়, মেয়র অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজস্ব আবেদনকারীগনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। প্রার্থীগন বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক সকল প্রকার সনদপত্রসহ যোগ্যতা উল্লেখ করে আবেদন করলেও নিয়োগবোর্ডের সদস্যরা ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাদের আবেদন নাকচ করেন।
সহকারী কর আদায়কারী পদে আবেদনকারী সুমাইয়া ইসলাম লাকী গত তিন বছর যাবৎ ওই পৌয়সভায় ওই পদে মাষ্টাররোলে চাকুরী করে আসছেন। তিনি বলেন,”আমার আবেদনে কোন ক্রুটি ছিল না,মেয়র ও আমার চাচা উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম এর সাথে রাজনৈতিক মতবিরোধের জের ধরে আমাকে নাকচ করেছেন”।তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন ‘ওকেতো মাষ্টাররোলেই রাখতে চাই না, আবার চাকুরী দিব ওর চাচা আমার অনেক ক্ষতি করেছে”।
এ ব্যাপারে মেয়র শিব শংকর দাস তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”আমি ১০০% স্বচ্ছ পরীক্ষা নিতে চাচ্ছিলাম কিন্ত একটি চক্র সুবিধা নিতে চেয়েছিল সেটা না পেয়ে এসব প্রোপাগাণ্ডা ছড়ায়। যেহেতু সমালোচনা উঠেছে তাই এমপি মহোদয়ের পরামর্শক্রমে নিয়োগ বোর্ডের সকলের সিদ্ধান্তে পরীক্ষা স্থগিত করেছি। স্বচ্ছতার সাথেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হবে”।
বিপি>আর এল