বাংলাপ্রেস ডেস্ক: শীতের তীব্রতার প্রভাব বেশ ভালোভাবেই পড়েছিল ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায়। উদ্বোধনের পর থেকেই দর্শনার্থী ও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে মেলার ৬ষ্ঠদিনে অন্য দিনগুলোর তুলনায় বেড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বিক্রিও বেড়েছে। ফলে আনন্দ বিরাজ করছে মেলা প্রাঙ্গণে।
শুক্রবার বাণিজ্যমেলা ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মেলার গেট খুলে দেওয়ার পর সকালের দিকে লোক সমাগম কিছুটা কম ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাগম বাড়তে থাকে। বিকেলের দিকে তা পরিণত হয় উপচে পড়া ভিড়ে। কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে। বেশিরভাগই মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন। অনেকে পছন্দের পণ্য খুঁজছেন এবং কেনা-কাটা করছেন।
মেলায় ‘বিনিঘর’ নামের একটি স্টলে হাতে বানানো পাটজাত পণ্য বিক্রি করছেন। তারা হাতে বানানো পাটের ফ্লোর মেট বিক্রি করছেন ১৩৯০ টাকায়। তবে মেলা উপলক্ষে বিশেষ ছাড়ে এই ফ্লোর মেট বিক্রি করছেন ৯৯০ টাকায়। বিনিঘরের সিইও হোসাইন মাহমুদ বলেন, পাটজাত পণ্য হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব। এগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যায়। সর্বোপরি পরিবেশকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পণ্য আমাদের ব্যবহার করা উচিত।
বিআরটিসির শাটল সার্ভিসের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক অফিসার জাফর আহমেদ বলেন, বন্ধের দিন উপলক্ষে শুক্রবার মেলায় আসা যাত্রীদের জন্য ১২০টি বিআরটিসি বাস বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে দুপুর পর্যন্ত ৬৬টি বাস সার্ভিস দেওয়া শুরু করেছে। প্রয়োজনে বাসের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, গত দুইদিন শীতের কারণে দর্শনার্থী কম থাকায় ২৫টি করে বিআরটিসির শাটল সার্ভিস চালু ছিল। আজকে মেলা ১০টা পর্যন্ত চলবে। তবে যাত্রী যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বাস চলবে। একজন যাত্রী থাকলেও আমরা বাস পরিচালনা করব।
বিপি/কেজে