সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রায় আড়াই বছর আগে ২ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন ফারুক আহমদ। পরে একটি নির্বাচনী মামলার রায়ে ৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিলেট যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত এবং নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আরিফুজ্জামান ফারুক আহমদকে বিজীয় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী মর্তুজা কিবরিয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাচনে ২ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমদকে পরাজিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবদুল আহাদের বৈধ ভোট ঘোষণা করা হয় ২ হাজার ৮৩টি এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ফারুক আহমদের বৈধ ভোট ঘোষণা করা হয় ২ হাজার ৮১টি। পরে দুই ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল নারকেলগাছ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল আহাদকে।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ওই বছরই সিলেট যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী ফারুক আহমদ। মামলায় পাঁচটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল পুনর্গণনার আবেদন করেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উপস্থিতিতে কয়েক দফায় আদালতে ভোট পুনরায় গণনা করা হয়। বাদী ও বিবাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পুনরায় ভোট গণনায় ফারুক আহমদ ৪ ভোট বেশি পান। এরপর বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গতকাল সন্ধ্যায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এতে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ফারুক আহমদ জগ প্রতীকে বৈধ ভোট ২ হাজার ৭১টি এবং আবদুল আহাদের বৈধ ভোট ২ হাজার ৬৭টি বলে প্রকাশ করা হয়।
ফারুক আহমদ তার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে জানান, ‘আদালত যে মানুষের শেষ ভরসা, সেটিই প্রমাণ হয়েছে। ভোট পুনর্গণনার রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমি আইনি লড়াই করেছিলাম।’
বিপি>আর এল