বাংলাপ্রেস ডেস্ক: গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রস্তাবটি তোলা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি আহ্বান করে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় মিত্র বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র এই প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৩ সদস্য গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে ভোট দেয়। ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভোট দিয়ে প্রস্তাবটি আটকে দিয়েছে।যুক্তরাজ্য ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।
এর আগে, গাজার পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য জাতিসংঘ সনদের ৯৯ অনুচ্ছেদ আহ্বান করেন মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এর মাধ্যমে গাজায় চলমান সংকট নিরসনে নিরাপত্তা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল।
প্রস্তাব আটকের পক্ষে যুক্তি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত রবার্ট উড বলেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের খসড়া তৈরি ও ভোটাভুটির প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত করা হয়েছে এবং এতে উপযুক্ত পরামর্শেরও অভাব ছিল।
জাতিসংঘে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবুশাহাব নিরাপত্তা পরিষদে প্রশ্ন করেন, গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণ বন্ধ করার আহ্বানের পেছনে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে না পারি, তাহলে আমরা ফিলিস্তিনিদের কী বার্তা পাঠাচ্ছি? প্রকৃতপক্ষে, যারা বিশ্বজুড়ে যেকোনো সময় একই পরিস্থিতিতে পড়তে পারে সেসব বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি আমরা কী বার্তা পাঠাচ্ছি? ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকা প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেন, প্রস্তাবনায় হামাসের কোনো নিন্দা না করায় তার দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
এদিকে গাজায় সংঘাত থামাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষ্ক্রিয়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পোলিয়ানাস্কি বলেন, জাতিসংঘের এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে গাজার সংঘাত আরও তীব্র রূপ ধারণ করছে। এর আগে গাজা ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচবার ভোটাভুটি হয়েছে। কিন্তু কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে পরিষদ।
বিপি।এসএম