ইমা এলিস: যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে আইনগতভাবে বসবাসকারী অভিবাসীকেও গ্রেপ্তার করেছে অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ (আইসিই)) এজেন্টরা। ওহাইও রাজ্যের কলম্বাসে তার বাড়ির বাইরে আটক করেন। তাকে নির্বাসনের (ডিপোর্টেশন) হুমকিও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আইনজীবী ইন্না সিমাকভস্কি জানান, কলম্বাসে তার বাড়ির কাছেই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়। এরপর তার মেয়ে এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ নিয়ে ডাব্লিউবিএনএস টিভি একটি রিপোর্ট করেছে।
সিমাকভস্কি বলেন, তার পরিবার অভিবাসন কর্মকর্তাদের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট এবং অভিবাসন সংক্রান্ত নথিপত্র দেখানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাকে জানানো হয় যে, তার মাত্র এক সপ্তাহ সময় আছে নিজের বিষয়গুলো গুছিয়ে নেওয়ার। এরপর তাকে মেক্সিকোতে নির্বাসিত করা হবে।
তবে আইনজীবীর মতে, ওই ব্যক্তি ‘ইউ ভিসা’-তে যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। যা বিশেষ কিছু অপরাধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া হয় যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে সহায়তা করতে পারেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে কয়েক ঘণ্টা আটক রাখার পর গিওগা কাউন্টি জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ফক্স নিউজ ৮ জানিয়েছে সোমবার পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তি আইসিই-এর হেফাজতে ছিলেন। তাদের আদালতে শুনানির জন্য গিওগা কাউন্টি সেফটি সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
কলম্বাস সিটি কাউন্সিল কর্মকর্তারা সারাদেশে ব্যাপক নির্বাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তারা উল্লেখ করেন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে মানুষ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ও অর্থনীতিতে অবদান রাখতে ভয় পাচ্ছে।
একজন কিউবান অভিবাসীর মেয়ে ও সিটি কাউন্সিল সদস্য লুর্দেস বারোসো দে পাডিলা বলেন,আমি মনে করি এটি আমাদের সম্প্রদায় ও পরিবারগুলোর জন্য ধ্বংসাত্মক। এটি আমাদের স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও ক্ষতিকর। এটি ভাঙা অভিবাসন ব্যবস্থার সমাধান নয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সারাদেশে ৫ হাজারেরও বেশি অনথিভুক্ত অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যা তার ‘গণনির্বাসনের’ প্রতিশ্রুতির অংশ ছিল। তবে অভিবাসন অধিকার কর্মী এবং ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতারা এই নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন।
বিপি।এসএম