বাংলাপ্রেস ডেস্ক: সারাদেশে দুর্ভিক্ষের ছায়া নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, `যারা দিন আনে দিন খায় এবং গরিব, অসহায়, কর্মহীন মানুষ অনেক কষ্টে আছেন। অথচ জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ চেয়ারম্যান মেম্বার ও আওয়ামী লীগের নেতারা চুরি করছে। আত্মসাৎ করছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার। মানুষ মরছে, হাহাকার করছে কাজে যেতে পারছে না আর সরকারের লোকেরা ত্রাণ চুরি করছে।‘
রবিবার সকালে ময়মনসিংহের পাইথোলিন ইউনিয়নে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানার উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ লাখ মানুষকে ১২৫৭ কোটি টাকা দেবেন। আমরা এখন খবর দেখছি সরকারের লোকেরা প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০০ টাকা রেখে দুই হাজার টাকা দিচ্ছে। আবার যারা তালিকা করছেন তাদের নিজস্ব লোক আত্মীয়-স্বজনদের নাম তালিকায় তালিকায় দিচ্ছেন। গরিব মানুষের নাম তালিকা থাকে না। তালিকা এমনভাবে করেন যেন প্রতিষ্ঠানের মালিকের নাম আছে কর্মচারীর নাম নেই। এটা কোন কাজ হতে পারে। তাহলে কোন পরিস্থিতি বিরাজ করছে একবার চিন্তা করুন। এটা তো জনগণের টাকা। সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের টাকা নয়।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মহাদুর্যোগের মধ্যেও গরিব অসহায় মানুষের টাকা আত্মসাৎ করা হলে তাহলে তারা কোথায় যাবে। তারা তো না খেয়ে মারা পড়বে।
রিজভী বলেন, চীনে জানুয়ারি মাসে করোনা মহামারি শুরু হয়। তখন থেকে আমাদের দেশে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল। বাংলাদেশ সরকার সে পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যান্য অনেক দেশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তারা ভালো আছে। আর বাংলাদেশ পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রতিদিন এক হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন লোক মারা যাচ্ছে। সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পকেটের টাকা দিয়ে সারাদেশে অসহায় গরিব মানুষকে ত্রাণ দিচ্ছে। আমরা এমনিতেই বিপদে আছি। আমাদের রাস্তা দেখলে গ্রেপ্তার করা হয়। গুম করে নিয়ে যায়। এই অবস্থার মধ্যেও যতই বিপদ আসুক অসহায় মানুষের পাশে আছি এবং থাকব।
বিপি/কেজে