ফরিদপুর থেকে সংবাদদাতা: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা-ঢাকা রুটের সাদ পরিবহন চলাচলে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা বাস মালিক গ্রুপের বিরুদ্ধে। বাস মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের পরিবর্তে তারা সড়কে চলাচলরত যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসার পর বুধবার ও এর আগে সোমবার শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে বাস মালিক গ্রুপের কিছু কর্মকর্তা সাদ পরিবহনের বাস থামিয়ে যাত্রীদের এভাবে নামিয়ে দেন। যাত্রী হয়রানি ও সাদ পরিবহনকে বাধা দেয়া প্রসঙ্গে ফরিদপুর ট্রুাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর জানান, এক সময়ে ওই রুটে সাদ পরিবহন চলাচল করত। পরবর্তীতে ওই স্থানে সাউথ লাইন চলাচল করেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে সাউথ লাইন বন্ধ থাকায় সাদ পরিবহন পুনরায় চলাচলের চেষ্টা করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে সিদ্ধান্ত জানাব।
ফরিদপুরের জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সিদ্দিকীর মালিকানাধীন এই সাদ পরিবহন। অভিযোগ রয়েছে, ২০১৪-১৬ সালে গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক থাকাবস্থায় রাজনৈতিক ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহারের মাধ্যমে শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাস মালিক গ্রুপ জবর দখল করেন। এরপর তারা সাদ পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি এই বরকত ও তার ভাই রুবেল বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদকসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর বরকতকে গ্রুপের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
কামরুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, মালিক গ্রুপের বৈধ ট্রিপের চার্ট অনুযায়ীই ওই রুটে বাস চলাচল শুরু করলে অন্যায়ভাবে আমাদেরকে বাধা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা বাস মালিক গ্রুপের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আহসান বনি বলেন, ওই রুটে বর্তমানে সাদ পরিবহনের কোনো ট্রিপের অনুমোদন নেই। তাই বাস চলাচল করতে দেয়া হয়নি।
বিপি/কেজে