দেবীগঞ্জ,(পঞ্চগড়) থেকে প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের গতি নেই। হাট-বাজারে ধানের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকেরা সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।
বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক ,জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র উঠে এসেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম ইকবাল জানান, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ১০, হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। ফলনও ভাল হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে ৪ দশমিক ৬ মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। সে হিসেবে উপজেলায় ৪৭ হাজার ৭০৮ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ কামরুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ৯শ ৫৩ মেট্রিক ধান এবং ৩৬ টাকা কেজি দরে ২৬৫৯ মেট্রিক টন চাল কেনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধান কেনার জন্য ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে গত ১ জুন আগ্রহী কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লটারি সম্পন্ন হয়। প্রতিজন কৃষককে ১ মেট্রিক টন করে ধান বিক্রির জন্য বলা হলেও আশানুরুপ সাড়া পাওয়া যায়নি। বৃহ্ধসঢ়;সপতিবার পর্যন্ত মাত্র ৬৮ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। আর চাল সংগ্রহ হয়েছে ৬৭৩ মেট্রিক টন।
দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক বলেন, বর্তমানে হাটে প্রতি মন মোটা জাতের ধান ৯০০ – ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক টাকা বেশি পাওয়ার আশা নিয়ে সরকারি গুদামে ধান দিতে গিয়ে শুধুই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গত কয়েক বছরে ধানের বাজার দর এমন ছিল না। তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের পেছনে ঘুরেও সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে পারেননি।
এবার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে বলে খুশি তারা। একজন ধান ব্যবসায়ী বলেন, কৃষকের আইডি কার্ড ও কৃষি কার্ড সংগ্রহ করে স্থানীয় পর্যায়ের একটি চক্র প্রতি মৌসুমে সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করত। কিন্তু এবারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় তাদের তৎপরতা নেই বললেই চলে। দেবীগঞ্জের ইউএনও প্রত্যয় হাসান বলেন, প্রতিবার সরকারি গুদামে ধান চাল বিক্রি করতে অনেকেই আগ্রহী হতেন। এ জন্য লটারি করতে হতো। এবার লটারিতে অংশগ্রহনকারীর সংখ্যাও কম। তিনি বলেন, হাটে ভাল দাম পাওয়ায় লটারিতে অংশগ্রহনকারীরাও ধান দিচ্ছেন না। ৩১ আগষ্ঠ ধান-চাল সংগ্রহের শেষ তারিখ প্রয়োজনে সময়সীমা বাড়ানো হবে।
বিপি/আর এল