মোফাজ্জেল হোসেন রাজু, যশোর থেকে : যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় রফিকুল ইসলাম (৫০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। টাকা ও মোবাইল সেট দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে রফিকুলকে হত্যা করেন চরমপন্থি দলের সদস্যরা। এই ঘটনায় হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান । গত ৯ জুলাই দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার কুচলিয়া এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হয় রফিকুল ইসলাম। তিনি মনিরামপুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের আমারত বিশ্বাসের ছেলে। রফিকুল ইসলামকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় মণিরামপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী শিরিন আক্তার।এসপি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, কোতোয়ালি, অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে শুক্রবার অভয়নগর ও মণিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হেলাল ভূঁইয়া, মো. সেলিম, হাসান আলী, সমীরণ পাঁড়ে ও তাপস মোড়ল নামে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। একইসঙ্গে হত্যাকাÐে ব্যবহৃত একটি দোনলা বন্দুক, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও তাদের ব্যববহৃত পাঁচটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের চরমপন্থি সংগঠন ‘নিউ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির’ সদস্য পরিচয় দিয়ে এলাকায় ঘের দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। নিহত রফিকও এক সময় তাদের সদস্য ছিলেন। ঘটনার দিন তাকে টাকা ও মোবাইল সেট দেওয়ার কথা বলে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে গুলি করে ও গলাকেটে হত্যা করেন সহযোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সালাউদ্দিন শিকদার, ডিবি পুলিশের ওসি
বিপি/আর এল