গৌরীপুর থেকে সংবাদদাতা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা গৌরীপুর বিদ্যুৎ অফিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী হাবিবুর রহমান হবি শুক্রবার রাত ৯ টা ৫০মিনিটে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না-লিল্লাহ রাজিউন)।
প্রশিক্ষণ ছাড়া বিশেষজ্ঞ ব্যতিত বিদ্যুৎ কন্ট্রোলরুমের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে হবি’র মতো কর্মচারীদের প্রবেশাধিকার নেই। সেটি সংরক্ষিত এলাকা। অথচ সেখানে তাকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। এটা দায়িত্বহীনতার সামিল বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন গৌরীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ। তিনি বলেন, এসব কাজের জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা আছে-আজীবন পরিবারের নিশ্চয়তা আছে। হবি’র কিছুই নেই।
এ মৃত্যু’র দায় বিদ্যুৎ বিভাগ ও কর্মকর্তাদের নিতে হবে। হবি’র মৃত্যুর জন্য তার পরিবার-পরিজনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে দেয়ার জন্য দাবী জানাচ্ছি। গত ১৭ জুলাই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গৌরীপুর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শরীরের ৪৫শতাংশ পুড়ে যায়। তিনি সরকারি কোন কর্মচারী ছিলেন না, চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন। প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোলরুমে হবি’র কাজ করা বা করানো নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বিদ্যুৎ বিভাগ। বছরে কোটি কোটি টাকা সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিছনে ব্যয়, গ্রাহকরা প্রতিমাসে সার্ভিস চার্জ দেন, তারপরেও বেসরকারি এসব কর্মচারীদের দ্বারাই মূলত চলছে বিদ্যুৎ বিভাগ ‘মরলে দায় নেয় না কেউ’। গ্রাহকদের সার্ভিস নিতে দিতে হয় বাড়তি টাকা!
জানা গেছে, ঘটনার দিন গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ কন্ট্রোরুমে ৩৩হাজার কেভি থেকে ১১হাজার কেভিতে ট্রান্সফার ফিডবক্সে কাজ করার সময় হাবিবুর রহমান হবি অগ্নিদগ্ধ হন। বেসরকারি বিদ্যুৎ কর্মী হাবিবুর রহমান হবি গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হলে তার শরীরের ৪৫% শতাংশ পুড়ে যায়। দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থানান্তর করা হয়।
বিপি/আর এল