বাংলাপ্রেস ডেস্ক:ভালোবাসার মানুষকে মেনে না নেওয়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিযামান করে আত্মহত্যা করেছেন উঠতি মডেল ও অভিনেত্রী লরেন মেন্ডেস। গুলশানের কাঁলাচাদপুরের বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মডেল ও অভিনেত্রী লরেন আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। তার আত্মহত্যার নেপথ্যে কারও কোনও প্ররোচনা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেড়ালপ্রেমী ছিলেন লরেন, ছবি- ফেসবুক থেকে সংগৃহীত পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশান থানাধীন কালাচাঁদপুরের বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন লরেন। ‘ইন্টারনেট শেষ হলেও, নো টেনশন’- এয়ারটেলের এই বিজ্ঞাপন দিয়ে আলোচনায় আসা লরেন কয়েকটি মিউজিক ভিডিও, নাটক এবং সর্বশেষ একটি স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এক তরুণের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণটি মুসলিম ধর্মালম্বী হওয়ায় লরেনের বাবা-মা বিষয়টিকে মেনে নিতে চাইছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে শনিবার রাতে লরেনকে বকাঝকা করেন মা-বাবা। একারণে রাতের কোনও এক সময়ে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে তারা ধারণা করছেন।
নববঁধুর সাজে লরেন, ছবি- ফেসবুক থেকে সংগৃহীত পুলিশ জানায়, সকালে পরিবারের লোকজন লরেনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে বসুন্ধরার এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
স্বজনরা জানান, লরেন সর্বশেষ সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত ‘ট্রল’ নামে একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নেন। গত ২৬ আগস্ট অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিনদের সঙ্গে এ নাটকের শুটিং করেছেন তিনি।
বিপি এসএম