আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: পৃথীবির অন্য দেশগুলোতে ফটোগ্রাফি এর একটা অন্যরকম সম্মান থাকলেও একটা সময়ে বাংলাদেশে খুব একটা সম্মানের চোখে দেখা হতো না ফটোগ্রাফারদের। ফটোগ্রাফি কে পেশা হিসেবে নেবার কথা খুব একটা ভাবতো না কেউই। কিন্তু যুগ বদলেছে, যুগের সাথে সাথে বদলেছে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। এক সময় যেই ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে নেবার কথা মানুষ খুব একটুও চিন্তা করতো না। এখন সেই ফটোগ্রাফিকে নিয়েই স্বপ্ন দেখ অনেকেই। তেমন একজন ব্যক্তি আজাদ খান। পেশাগতভাবে একজন ফটোগ্রাফার হয়েছেন তিনি।
বিগত ৪ বছর ধরে এই একটি মাত্র পেশার সাথে লেগে আছে আজাদ খান এবং দেশের একজন ভাল ফটোগ্রাফার হিসাবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করতে চায় নিজেকে। এটি তার একমাত্র স্বপ্ন। আজাদ খান নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কলেজ পাড়া এলাকার আজমল হোসেনের একমাত্র ছেলে। ২০১৫ সালে ডোমার বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। পরে রংপুর বডারগার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে বর্তমানে অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ালেখা করছে। রংপুর বিভাগের সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ক্রাউন সট টিমের সাথে কর্মরত আছে। ২ ভাই বোনের মধ্যে আজাদ খান সবার ছোট। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন ভাল একজন ফটোগ্রাফার হওয়ার। স্কুল জীবন থেকে ছবি তোলার প্রতি ছিল তার প্রচন্ড নেশা। বড় হওয়াার পরেও ফটোগ্রাফিকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। বিগত ৪বছর ধরে রংপুরর সুনামধন্য কোম্পানী ওয়েটিং ফটোগ্রাফি এর সাথে সফলতার সাথে কাজ করছে। ফটোগ্রাফি আজাদ খান জানান, ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম ভালো একজন ফটোগ্রাফার হবো।
ফটোগ্রাফির ছাড়া অন্য কোন পেশাকে নিয়ে কখনোই স্বপ্ন দেখি নি, এখনো দেখি না। ফটোগ্রাফি আমার একমাত্র পেশা। এটি ছাড়া অন্য কোন পেশায় নিজেকে জড়াতে চাই না। আমার সকল স্বপ্ন শুধু ফটোগ্রাফি ঘিরেই। ভবিষ্যতেও ফটোগ্রাফি নিয়ে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ইতিমধ্যে রংপুর নীলফামারী সহ দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে খুব ভাল মানের ফটোগ্রাফার হিসাবে ব্যপক সুনাম রয়েছে তার। বাকি সময় টুকু স্বপ্ন পূরণের আশায় দিন গুনছে ফটোগ্রাফার আজাদ খান। বর্তমানে ব্রাইডাল ওয়েডিং নামে একটি নিজস্ব কোম্পানী খুলেছে, যা ২০২০ সালে ১৫ ফ্রেব্রুয়ারী তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন। নিজের স্বপ্ন পূরণে সকলের দোয়া কামনা করেন তরুন ফটোগ্রাফার আজাদ খান।